লকডাউনের আড়ালে অবৈধভাবে মদের ঠেক ! “মাসোহারা দি পুলিশকে, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না” বক্তব্য দোকান মালিকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার সংক্রমণের বাড়াবাড়িতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চার পুরসভা- সহ বেশ কিছু এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। কাঁথি পুরসভা- সহ, এগরা, পাঁশকুড়া এবং তমলুকে কঠোর পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনকে।
জেলায় ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু লকডাউন এবং সরকারি বিধি সকলে যাতে মেনে চলে তার জন্য মাইকের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মাইকে করে সাধারণ মানুষকে সতর্কও করছে পুলিশ ও প্রশাসন। তবে লকডাউনে এগরা- বেলদা রাজ্য সড়কের ষড়রং পেট্রোল পাম্পের সামনে হোটেলের (শ্রীকৃষ্ণ হোটেল) আড়ালে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ ও বেআইনি মদের ঠেক বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদের কারবার। অভিযোগ, আবগারি ও পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।
অথচ ষড়রঙ পেট্রোল পাম্পের সামনেই রাত-দিন স্থানীয় থানার পুলিশ গাড়ি ঘিরে তোলা আদায়- সহ জুলুমবাজি চালায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে জানিয়েছিলেন গাড়ি ঘিরে কোনভাবে ‘তোলা’ আদায় এবং জুলুমবাজি করা যাবে না।
জনপ্রিয়তায় ভাটা ! ভার্চুয়াল সভায় প্রশ্নের ঝড় চাকরী প্রার্থীদের
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করেই এগরার ষড়রং, নেগুয়াতে পুলিশের জুলুমবাজি অব্যাহত। তবে ষড়রং এর ওই হোটেলের মালিক বলেন, “ব্যবসা তো করবো। আবগারি ও পুলিশকে মাসোয়ারা দিই। আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।”
আবার এগরা থানার আসদা (দক্ষিণ) গ্রামে কালিপদ খাটুয়া নামের এক ব্যক্তির দোকানে রাত হলেই চলে অবৈধ মদ ও জুয়ার ঠেক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এগরার তেলামি, সাহাড়া, কসবাগোলা, আলংগিরি, পাঁচরোল- সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষেরা কালীপদ খাটুয়া’র মদের দোকানে আসে জুয়া খেলার জন্য। প্রতিদিন রাত আট’টা বাজলেই শুরু হয়ে গেল জুয়ার আসর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, “বেআইনিভাবে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। পুলিশকে জানিয়েও বা কী হবে? থানা থেকে ‘ম্যানেজার’ আসে ‘হপ্তা’ নিয়ে চলে যায়। কার্যত রক্ষকই ভক্ষকে পরিণত হয়েছে। তবে আগামীদিনে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শেখ বৈদুজ্জামান আহমেদ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘটনার তদন্ত করে দেখছি।”