কমলনাথের মন্ত্যবের পরেই বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি রওনা দিল বিজেপি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জাতীয় রাজনীতির হটকেক এখন মধ্যপ্রদেশ। যেভাবে সময়ে সময়ে রাজনীতির পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে অনেকটাই আশঙ্কায় রয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের কংগ্রেস শরিক দলগুলি। মঙ্গলবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস থেকে ইস্তফা জমা দেওয়ার পরেই কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে সরে দারান সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ২২ জন বিধায়ক। সরকার রক্ষা করতে গিয়ে চাপে পড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে আগামী পাঁচ বছর কংগ্রেস সরকার থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন একদা ইন্দিরা ঘনিষ্ঠ কমলনাথ।

মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমলনাথ বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে আগামী ৫ বছর আমরাই ক্ষমতায় থাকব। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস বিধায়কদের জয়পুর আনা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুনঃ ক্ষমতার লোভে বিজেপিতে যাচ্ছে সিন্ধিয়া, দাবি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

এতেই ভ্রু কুঁচকেছে বিজেপির। মধ্যরাতেই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি পৌঁছন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অনিল জৈন। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, অন্যান্য প্রদেশেও বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবী করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ১৯ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ইস্তফা পত্র নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতির বাড়িতে পৌঁছে দেন বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গব, নরোত্তম মিশ্র।

অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের অপর বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, ২২ জন বিধায়ক যারা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। চারজন নির্দল ছাড়াও এসপি এবং বিএসপির দুই বিধায়ক কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যে ১৯ জন বিধায়ক ব্যাঙ্গালুরুতে রয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের অনেকেই নিজেদের আসন হারাতে চান না। তাই আলাদা করে তাঁদের বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না।

আরও পড়ুনঃ সংঘাতের আবহেই প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

ইস্তফা জমা দেওয়ার আগে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, জানিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি আরও বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। এমনকি উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে জ্যোতিরাদিত্যের রাজ্যসভায় যাওয়া কোনও ব্যাপার ছিল না।

 

কিন্তু তা হয়নি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পরেই ইস্তফা পত্র জমা দেন একদা রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন কেসি ভেনুগোপাল।

২০১৮ সালে নিজেদের ১১৪ টি আসন এবং এসপি, বিএসপির ২ এবং ৪ নির্দল প্রার্থীর সহযোগে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর পদে জ্যোতিরাদিত্যের নাম থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন কমলনাথ। সেখান থকেই শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারকে সমর্থন করে বসেন জ্যোতিরাদিত্য। তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনা রীতিমতো চাপে ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে।

সম্পর্কিত পোস্ট