ডাঃ কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তির আদেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কাফিল খানের বক্তব্যে হিংসা বা বিদ্বেষমূলক কোনও দিক উঠে আসছে না। স্পষ্ট এ কথা জানিয়ে ডঃ কাফিল খানকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানালো এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
গত বছর সিটিজেনশিপ এমেডমেন্ট এক্ট বিরোধী আন্দোলনে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন ডঃ কাফিল খান। হিংসা এবং বিদ্বেষমূলক ভাষণের অভিযোগে গোরাখপুরের ডাক্তারকে ২৯ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।
১৩ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া অভিযোগ জানানো হয়, কাফিল খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যার ফলে হিংসা এবং দাঙ্গা ছড়াতে পারে। পরে কাফিল খানের ওপর এনএসএ লাগু করা হয়।
মঙ্গলবার আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, ডঃ কাফিল খানের মন্তব্যে এমন কিছু নেই যাতে মনে হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-contraction-of-the-economy-gdp-fell-at-a-record-rate/
এমনকি তার বক্তব্যে হিংসা ছড়ানোর জন্য মতো ভাষা ব্যবহার হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দেয় আদালত। আদালতের তরফে এও বলা হয়, জেলাশাসক পুরো বক্তব্য না শুনে শুধুমাত্র কয়েকটি মন্তব্য শুনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কোনও ব্যক্তি দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এক্ট লাগু করা যেতে পারে। ১৯৮০ সালে প্রবর্তিত এই আইন কাফিল খানের ওপর লাগু করা হয়।
এর আগে ২০১৭ সালে গোরখপুরের একটি হাসপাতালে ৬০ জন শিশুর মৃত্যুর অভিযোelগে কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি তাঁকে ডাক্তারি পদ থেকে খারিজ করে দেওয়া হয়।
নতুন করে আইনি জটিলতায় পড়ে ফের কাফিল খানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও এদিন আদালতের মন্তব্যে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।