আমফানের ক্ষতিপূরণের আবেদনকারীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফান এর ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য এলাকার বেশকিছু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সরাসরি বিডিও অফিসে দরখাস্ত জমা দিয়েছিল।
বিডিও মারফত এলাকার তৃণমূলের প্রধান-উপপ্রধানরা সেই আবেদনকারীর নাম জানতে পারে। তারপর এলাকারই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর ও মারধর করে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
ঘটনাটি ঘটেছে ন্যাজাট থানার হাটগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর কানমারী এলাকায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, গত মে মাসের ২০ তারিখে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষতিপূরণের জন্য তৃণমূলের প্রধান-উপপ্রধানরা বিজেপি করার অপরাধে তাদের কাছ থেকে কোন দরখাস্ত জমা নেয়নি।
তাই ওই সমস্ত কর্মী-সমর্থকরা যাতে ক্ষতিপূরণের টাকা পায় তার জন্য সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকে সরাসরি আবেদন জমা দেয়। যদিও এটাই ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ।
আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যে গন্ডগোল হচ্ছে তার জন্যই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছিলেন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবাররা ক্ষতিপূরণের জন্য বিডিও অফিস বা থানায় দরখাস্ত জমা দিতে পারবে।
কলকাতায় সাইকেল চালাতে নীল নক্সা বানাচ্ছে কেএমডিএ
সেই নির্দেশ মতো এলাকার মানুষেরা বিডিও অফিসে আবেদন জমা দিয়েছিল। এরপর এলাকার প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা কাদের মোল্লা ও উপ প্রধান সুশীল খরবিন এর অনুগামীরা ওই সমস্ত আবেদনকারীদের নাম জানতে পেরে শুক্রবার রাত থেকে আবেদন কারীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাতের পাশাপাশি শনিবার সকালেও বেশকিছু এলাকার মানুষদের মারধোর করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বিজেপি সমর্থক অজয় পাল, কৃষ্ণা করবি, সুরজ কেউট, আলপনা মন্ডল, ইন্দ্রা কেউট সহ প্রায় ১৫ জন জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে কেউ বসিরহাট জেলা হাসপাতালের কেউ কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, গতকাল উপপ্রধান সুশীল খরবিন কে আটকে মারধোর করার পর থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।