ভোট কিনতে কুপন বিলির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চতুর্থ দফা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। বুধবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোট কিনতে বাড়ি-বাড়ি কুপন বিলি করেছে বিজেপি।
এদিন তৃণমূল ভবনে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তাঁর অভিযোগ,’১ এপ্রিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য ও বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ক্যাশ কুপন দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন বিলি করছেন বিজেপি কর্মীরা। যে কুপনে মোদির ছবি রয়েছে এবং ১ হাজার টাকার অঙ্ক রয়েছে। যাঁরা মোদির সভায় যাবেন এবং বিজেপিকে ভোট দেবেন তাঁরা হাজার টাকা পাবেন। এ ব্যাপারটি থেকে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি কীভাবে এড়িয়ে গেল, তা রহস্যের। আমরা কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা চাই, কমিশন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।’
প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক সমাগম নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ। সুখেন্দুশখর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক হচ্ছে কী করে? বিজেপির অন্য নেতাদের সভা ফাঁকা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বেইজ্জতি থেকে বাঁচাতে টাকা ছড়ানো হচ্ছে। এভাবে টাকা দেওয়ার মতো ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘটেনি। তাই এজিনিস বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
পাশাপাশি তারকেশ্বরে এক নাবালিকাকে আধাসেনা বাহিনীর এক জওয়ান শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, এনিয়ে কমিশনের কাছ অভিযোগ করা হয়েছে। সেই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা তা আমরা এখনও জানতে পারিনি। পকসো আইনে ওই জওয়ানের বিচার করতে হবে, তাকে গ্রেফতার করতে হবে।
করোনা বাড়াচ্ছে আতঙ্ক, লকডাউনের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোট চলাকালীন লালপুর এলাকার একটি বুথে পরিদর্শনে যান সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। গত ১ এপ্রিল জয়নগরের পদুয়ার মোড়ে জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সভায় বেশ কিছু মানুষকে এই কুপন দিয়ে বিজেপি-কে ভোট দিতে বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোটের দিন দুপুরে লালপুরে সেই কুপনই বিলি করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
অভিযোগ, বেশ কিছু ভোটারকে হাজার টাকার কুপন দিয়ে বিজেপি-কে ভোট দিতে বলা হচ্ছে। এই অভিযোগ চাউর হতেই সিপিএমের কর্মী সমর্থরাও সেখানে জড়ো হন। এই নিয়ে ভোটের দিন হয়। এদিন সেই কুপন প্রকাশ্যে এনে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল। এখন দেখার কমিশন এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই রায়দিঘির সিপিএম প্রার্থী কান্তি গাঙ্গুলি সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি তাদের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে। এখন দেখার কমিশন এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।
অন্যদিকে, বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো কুপন তারা ছাপাননি। বিজেপিকে বদনাম করার জন্য এটা তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত।
তিনি এও বলেন মথুরাপুর সাংগঠনিক সভাপতির কাছ থেকে এ বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। তারা এ ধরনের কোনো কুপনের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছেন।