পাঁচলায় পিএনমান্না জুজারসা ইন্সটিটিউশন চত্ত্বরে গাছ কাটার অভিযোগ, অস্বীকার স্কুল কর্তৃপক্ষের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  অরণ্য নিধন রুখতে প্রয়োজনে ছদ্মবেশে বন পাহারা দেবেন খোদ বনমন্ত্রী৷ এমনটাই জানিয়েছিলেন বনমহোৎসবের মঞ্চ থেকে খোদ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উদাহারণ হিসাবে তুলে ধরে বলেছিলেন, “সেচ দপ্তরে থাকাকালীন বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, এই দপ্তরে থাকাকালীনও দুর্নীতি দমন করব৷”

বনমহোৎসবের দিন কয়েক পরেই হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জুজারসা পিএন মান্ন ইন্সটিটিউশন চত্ত্বরে আচমকাই বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল স্কুলের বর্তমান পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি এবং গ্রামবাসীরা। যদিও অভিযোগটি বেমালুম অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের প্রাক্তন পরিচালন কমিটির তরফে জানা গিয়েছে বছর সাতেক আগে বনসৃজন প্রকল্পে বেশ কয়েকটি গাছ বসিয়েছিলেন তৎকালীন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বিষযয়টি খতিয়ে দেখতে স্কুল চত্ত্বরে গিয়ে দেখা যায় গোড়া থেকে ৩ ফুট রেখে কেটে ফেলা হয়েছে বাকী গাছ।

স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি বিনয় কোলে সংবাদমাধ্যমকে জানান ২০১৩ সালে গাছ গুলি লাগানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রছাত্রীরা যাতে একটু ছায়া পায়। কিন্তু গাছ গুলি কেন হঠাৎ কেটে ফেলা হল সেটাই বুঝতে পারছি না।

ধর্ষণের ও মানব পাচারে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার, নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ডেপুটেশন বসিরহাট পুলিশ জেলা অফিসে

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, আমফানে বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে গিয়েছিল। স্কুলেরই এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গাছগুলি সরিয়ে দেওয়ার। কয়েকটি গাছ স্কুল বাড়ির গায়ে হেলেও পড়েছিল। সবকটারই ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটা হয়নি।

গ্রামবাসীদের কথায়, আমফানে স্কুলের কোনো গাছ পড়েনি। তবে গাছ কাটা ও স্কুল চত্ত্বর পরিস্কারের জন্য ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়েছিল। আর গোটা বিযয়টি তদারকি করেছেন জুজারসা পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যা রাখী মান্নার স্বামী শোভন মান্না।

তিনিও গাছ কাটার বিষয়টি মানতে চাননি। তাঁর কথায় স্কুলটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে নিয়েছিল সরকার। তারপর স্কুলটি পরিস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাকে। দাঁড়িয়ে থাকা কোনো গাছ কাটা হয়নি।

আমরা গোটা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গুলশন মল্লিকের সঙ্গে। তিনি বলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। পরামর্শ দেন আমরা যেন পঞ্চায়েত সদস্য কালিপদ হাজরা ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা ডঃ অরুণ হাজরার সঙ্গে কথা বলি।

তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত করেছিলাম বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। যদি কেউ গাছ কেটে থাকেন তাহলে সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট