করোনা বৈঠকে যোগ না দিলেও লাদাখ ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী ডাকা বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও শুক্রবারের বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সেই বৈঠকের আমন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এসেছে। তাতেই তিনি যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।

উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে তাঁকে এই বৈঠক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘অল পার্টি মিটিং ওকে। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই লড়াই সকলকে একযোগে লড়তে হবে। সব মুখ্যমন্ত্রীদের বদলে সর্বদল ডাকা হয়েছে, তাতে কোনও অসুবিধা নেই।’

তখনই বোঝা গিয়েছিল, তিনি ওই বৈঠকে যোগ দেবেন বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি যোগ দেবেন। সেটাই এদিন মান্যতা পেল।

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বৈঠক ডাকা হয়েছে চিন-ভারতের সমস্যা নিয়ে, এটা করোনা নয়। ফলে স্বাভাবিক কারণেই এই বৈঠকে যোগ না দিলে সমস্যার সম্মুখিন যেমন হত তৃণমূল কংগ্রেস, তেমনি অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠত।

করোনা আক্রান্তদের হয়রানি রুখতে নয়া উদ্যোগ সরকারের, হাসপাতালের শয্যা সংক্রান্ত মিলবে ওয়েবসাইটে

সেই সমস্যা কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও  বুধবার করোনা নিয়ে বৈঠকে বলতে দেওয়া হবে না বলে বয়কট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্ত লাদাখ বৈঠকে বলা কিংবা না বলা খুব একটা বড় বিষয় নয়।

মূলত, এই খারাপ সময়ে দেশ যে এককাট্টা হয়ে লড়াই করছে, সেই বার্তাই দেওয়া যাবে। এখানে রাজনৈতিক মতামত খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই কারণেই এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, গত বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়ে দিয়েছে শুক্রবার বিকেল ৫টা সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। পুরো বৈঠকই হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে। ফলে সারা দেশ থেকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।

প্রথমে ভাবা হয়েছিল কড়া অবস্থান নিতে পারে ভারত।  কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, আগামিকাল সব রাজনৈতিক দলকে সঠিক চিত্রটা তুলে ধরার পাশাপাশি, নিজেদের পরিকল্পনার কথাও জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে সকলের মতামতও জানতে চাওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট