তৃণমূলে ফিরতে চান অমল আচার্যও

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোনালী গুহ, সরলা মুর্মুর পর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ফেরার আবেদন জানালেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। দল ছাড়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন অমল আচার্য।

তার দাবি, বিজেপির সাম্প্রদায়িক মনোভাবই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ। অমল আচার্য জানিয়েছেন দলে ফিরতে চেয়েছি মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার কারণ হিসেবে অমল আচার্য বলেছেন,”দলের জন্ম লগ্ন থেকেই দিদির আদর্শে তৃণমূল করেছি। জানি না কোন অজ্ঞাত কারণে টিকিট পেলাম না। ৫-৭ দিনের জন্য বিজেপি করেছি একটা ক্ষোভে। দুঃখে বেদনায় করেছি। মন থেকে করিনি। গোটা বাংলাকে কোভিড থেকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। আরেকদিকে তাঁর মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রতি হিংসা চালাচ্ছে।”

উল্লেখ্য,জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ছিলেন তৃণমূলে। দলের হাত ধরে হয়েছেন বিধায়ক। হয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতিও। তবুও শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে একুশের ভোটযুদ্ধে আর দলের টিকিট জোটেনি তাঁর কপালে।

তার জেরেই দল ছেড়ে পা বাড়িয়েছিলেন তিনি বিজেপিতে। কিন্তু দেড় মাসের মধ্যেই হয়েছে তাঁর মোহভঙ্গ। এবার ফের তাই তৃণমূলে ফিরে আসতে চান তিনি। ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক ও উত্তর দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য্য। যদিও দল তাঁকে ফেরাবে কিনা তার কোনও আভাস মিলছে না। তবে এটাও ঠিক অমল দলে ফিরলে ধাক্কা খাবে বিজেপি, ধাক্কা খাবেন শুভেন্দুও।

ফিলাপ করেছেন ‘বেসুরো স্বীকারোক্তি’ ফর্ম, নির্বাসন নাকি প্রত্যাবর্তন?

এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অমল আচার্য্যকে দলে ফেরাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই নিতে হবে। তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু অমল আচার্য্যই নয় অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন।

তবে সবাইকে যে ফিরিয়ে নেওয়া হবে এমনও নয়। দল সবার আবেদন আলাদা আলাদা করে বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অমলকে ফেরানো হলেও সরলা মুর্মু আর সোনালী গুহকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু আপত্তি রয়েছে। বিশেষ করে সরলা যেভাবে দলকে বিপাকে ফেলেছিলেন তা ভোলার কথা নয়। তাছাড়া জেলার সদস্যদের মতামতও নেওয়া হবে এক্ষেত্রে।

সম্পর্কিত পোস্ট