এবার অমরনাথ, একের পর এক বিপর্যয়েও শিক্ষা হয়নি! প্রকৃতির উপর আধিপত্য বিস্তার চলছেই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ খুব পিছিয়ে যেতে হবে না। শেষ ১০ বছরের হিসেব নিলেই চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং বহু মানুষের প্রাণহানি ভারতে পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল অমরনাথ।

পাহাড়ি হড়পা বান বা মেঘ ভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডবে ধ্বংসস্তুপের চেহারা নিয়েছে অমরনাথ যাত্রার পাহাড়ি রাস্তা। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিখোঁজের সংখ্যা বহু। যত সময় যাচ্ছে ততই নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কমছে।

অমরনাথের এই বিপর্যয় যে প্রকৃতির খেয়াল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশ্ন উঠতে পারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে সরাসরি সরকার বা প্রশাসনের কী সম্পর্ক আছে? গত এক দশকে কেদার, বদ্রি, মানালি সহ এক ডজনেরও বেশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে গিয়েছে এদেশের পার্বত্য এলাকায়।

জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

অতীতে পার্বত্য এলাকায় ধস নামলেঐ এরকম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা এত ঘন ঘন ঘটত না। পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের নামে সর্বত্র রাস্তা তৈরি, ঘরবাড়ি, হোটেল, মন্দির সহ বড় বড় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ফলেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই এত ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে।

লাগাতার বৃক্ষচ্ছেদন এবং ডিনামাইট ফাটিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা ও পরিকাঠামো তৈরির ফলে পাথর আলগা হয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে মাত্রা ছাড়া লোকসমাগম ও তার সূত্র ধরে ব্যাপক দূষণের জেরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে হিমবাহ ও বরফ গলতে শুরু করেছে। ফলে ধস আরও বাড়ছে। এতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামার ঘটনাও অনেক বেড়ে গিয়েছে।

এক্ষেত্রে সরকার বিষয়টি বুঝে কড়া না হলে কিছু করার নেই। কারণ পার্বত্য এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত মূলত সরকারি স্তর থেকেই নেওয়া হয় এবং তা সরকার পালন করে। তাই আমজনতার পাশাপাশি যারা দেশকে পরিচালনা করছে তারা যদি এই বিপদ সম্পর্কে না সচেতন হয় তবে একের পর এক বিপর্যয় ঘটতেই থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট