বেহাল রাস্তায় আটকে অ্যাম্বুলেন্স, বিশ বাঁও জলে করোনা পরীক্ষা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মালদহের ভুতনিতে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স । বেহাল রাস্তায় মাঝে আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। অগত্যা লালরস না নিয়েই ফিরতে হল স্বাস্থ্য দফতরের টিমকে।
ঘটনাটি ভুতনি গোবর্ধনটোলা এলাকার। জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ জনের স্বাস্থ্যকর্মীর দল করোনা আক্রান্তদের পরিবারের লোকজন ও পরিযায়ী এবং ভিন রাজ্য ফেরত আসা মানুষের লালারস নমুনা সংগ্রহের জন্য পুলিনটোলা, খুশবরটোলা প্রভৃতি এলাকায় যাচ্ছিল।
মানিকচক থেকে সরকারি গাড়িতে ওই দলটি পৌঁছয় ভূতনিতে। এরপর ভুতনি হাসপাতালে থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স তাঁদেরকে ভুতনি ব্রিজ থেকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু, মাঝরাস্তায় ভুতনি থানা থেকে ভুতনি বাজারগামী গোবর্ধনটোলা এলাকায় রাস্তার কাদা মাটির মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের একাংশ বসে যায়। দরজা খুলে লাফ দিয়ে রাস্তায় নামেন পুরুষ ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এরপর আর কেউই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি । বিকেল পর্যন্ত বহু চেষ্টা করেও কাদামাটি থেকে অ্যাম্বুলেন্স তুলে চালানো সম্ভব হয়নি । শেষ পর্যন্ত লালারসের নমুনা সংগ্রহ না করেই ফিরে আসে মেডিকেল টিম ।
গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে মৃত যুবক, উত্তপ্ত বর্ধমানের বাদশাহী রোড এলাকা
অ্যাম্বুলেন্স যদি মাঝ রাস্তায় আটকে যায় তাহলে সাধারণ গাড়ির কি দশা হবে তা সহজেই অনুমান করা সম্ভব। এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।
ঘটনায় মুখ খুলতে চাননি মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আর দুর্ঘটনার কবলে পড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, পুরো ঘটনা তাঁরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ ওপর মহলে জানিয়েছেন । ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক পরিমল মন্ডল জানান, বেহাল রাস্তার কারণেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য গৌরচন্দ্র মন্ডল ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন ,আগাম জানিয়ে না যাওয়ার কারণেই ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করা যায়নি। পরে যাতে ওই এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় পৌঁছে লালারসের নমুনা সংগ্রহ যাতে করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুতনির ওই এলাকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর গ্রামীণ রাস্তার কাজ করছে বলেও এদিন জানান মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল।