আমফান দুর্নীতিঃ শোকজ হাওড়ার ৫ নেতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জেলায় জেলায় বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। ঘুর্নিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বজন পোষনের অভিযোগ উঠেছে গোটা রাজ্যে।
দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ মেলায় শোকজ করেছেন জেলার দায়িত্বে শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং হুগলীর একডজন নেতাদের পর হাওড়া জেলার পাঁচ নেতাকে শোকজ করল তৃণমূল।
তারা হলেন হাওড়া ডোমজুড়ের এক নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপড়দাহ গ্রাম পঞ্চায়ের প্রধান সুভাষ পাত্র, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ।
হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ রায় জানিয়েছেন, এই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দলের কাছে জমা পড়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাঁদের উত্তর জানাতে বলা হয়েছে। এর পরেই দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই তৃণমূলের নীচু তলার নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এমনকি এবিষয়ে একাধিকবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সরব হতে দেখা যায়। তার অভিযোগ যে একেবারে অমূলক নয়, তা প্রমাণ হচ্ছিল বারবার।
চিকিৎসক পরিচয়ে টাকা হাতানোর দায়ে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে গণধোলাই
কিছুদিন আগেই আমফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে একটি বিশেষ অভিযোগ ওঠে পাঁচলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কনক নাগের স্বামীর বিরুদ্ধে।
পঞ্চায়েত প্যাডে অভিযোগ জানান ওই পঞ্চায়েত প্রধান মুজিবর রহমান। আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ৮০ শতাংশ বিত্তশালীদের নাম রয়েছে। যারা কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
সব মিলিয়ে সারা রাজ্যে নীচুতলার কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ চাপে ফেলেছে শীর্ষ নেতৃত্বের। ২১ এর নির্বাচনের আগে এই ক্ষত পূরন করতে বেশ হিমশিম খেতে পারে ঘাসফুল শিবির।