বিহার নির্বাচনের মূল্যায়ন ছাড়াই বৈঠকে কংগ্রেস!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিহার সহ দেশের একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনে খারাপ ফলের কারণ কী? তা মূল্যায়ন করতেই আজ বৈঠকে বসতে চলেছে জাতীয় কংগ্রেস! সূত্রের খবর, কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে বিকেল ৫ টা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুরু হবে বৈঠক। যদিও দলের নিয়মিত আলোচনার মতোই এদিনের বৈঠক বলে জানাচ্ছে কংগ্রেসের একাংশ।
কংগ্রেস অন্দরের খবর, বিহার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সেরকম কিছু আলোচনা নাও হতে পারে। কিন্তু বিহার সহ গোটা দেশের ফলাফলে কংগ্রেসের যা ছবি তৈরি হয়েছে তার জন্য দলের মূল্যায়ন ভীষণ জরুরী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ১৯ টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। মহাজোটের প্রধান দল সেখানে ৭৫ টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছে। মহাজোটের এই হারের জন্য কংগ্রেসকে দুষছেন মহাজোটের অন্যান্য দলের সদস্যরা। এনিয়ে নিজের দলের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষোভ উগরে দেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। দলের নেতৃত্ব নিয়ে জোর সমালোচনা করেন তিনি। কংগ্রেসের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অভিজ্ঞ মস্তিস্ক, অভিজ্ঞ হাত এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা যারা বোঝেন, এরকম কাউকে নেতৃত্ব দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, বিভিন্ন সাংগঠনিক স্তরে আমাদের একাধিক পরিবর্তন আনতে হবে। দেশের মধ্যে বিকল্প হিসাবে কংগ্রেসকে মানুষ বেছে নিচ্ছে না। তাই এমন কিছু মানুষকে মিডিয়া এবং বিভিন্ন স্তরে ব্যবহার করতে হবে যাদের কথা মানুষ শুনবে। কংগ্রেসের অবক্ষয় হচ্ছে এটা দলীয় কর্মীদের বুঝতে হবে।
অন্যদিকে বর্ষীয়ান নেতার এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে একাধিক টুইট করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। দলের সহকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রতিটি নির্বাচনে হারের পর দলীয় নেতৃত্বের ওপর কংগ্রেস ভরসা করে এসেছে। প্রতিটি হারের পর দল আরও শক্তিশালী হয়েছে।
গত অগাস্ট মাসে পুর্ণ সময়ের সভাপতির আর্জি জানিয়ে ২৩ জন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন। মধ্যপ্রদেশে সরকার ভেঙে যাওয়ার জন্য দলের গাফিলতিকে দুষেছেন ওই নেতারা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়। বৈঠকের পর নতুন করে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পান আহমেদ প্যাটেল, কেসি ভানুগোপাল, একে অ্যান্টনি, অম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালারা।
বছর ঘুরলেই বাংলার বিধানসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে পলিটব্যুরো থেকে শিলমোহর নিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় নামতে চায় বামেরা। পড়শি রাজ্যে বামেদের স্ট্রাইক রেট ভালো থাকলেও শরিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে একাধিক বৈঠক এবং কর্মসুচী শুরু হলেও, বাংলার মাটিতে ভোটের অঙ্ক মেলাতে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।