বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের কার্যকারিতা নিয়ে সওয়াল রাজ্যপালের, পাল্টা তীব্র জবাব অমিত মিত্রের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের কার্যকারিতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলায় রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নবনিযুক্ত প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র রাজ্যপালকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। একদিন আগে বিজয়া সম্মেলনে শিল্প সম্মেলনকে সফল করতে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেওয়ার পর সম্মেলনের কার্যকারিতা নিয়ে রাজ্যপালের প্রশ্ন তোলা বিষ্ময়কর বলে অমিত বাবু মন্তব্য করেন।

পাল্টা টুইট করে অমিত বাবু রাজ্যপালের কে ‘ডঃ জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইডের’ চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করেন।পাশাপাশি একই ইস্যুতে গত বছর রাজ্যপালের দেওয়া একই মর্মের একটি চিঠি এবং তার জবাবে সম্মেলনের সাফল্যের খতিয়ান দেওয়া তাঁর পাল্টা চিঠিও টুইট করেন তিনি।

২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর রাজ্যপালকে দেওয়া সেই চিঠিতে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র
প্রধানমন্ত্রীর উক্তি মনে করিয়ে লেখেন , যে সব রাজ্য শিল্প সম্মেলন আয়োজন করে তাদের বাহবা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলন তার উদ্ভাবনী বৈশিষ্টের জন্য দেশ ও বিদেশে বাহবা কুড়িয়েছে।
বাণিজ্য সম্মেলনের খতিয়ান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে ১২,৩২,৬০৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।

যানজট ও দুর্ঘটনা রুখতে রুবি হাসপাতাল মোড়ে তৈরি হবে স্কাইওয়াক

২০১৫ – ২০১৮ সালের মধ্যে যে প্রস্তাব এসেছে তার ৫০.২৭ শতাংশ কার্যকর হওয়ার পথে এগোচ্ছে। ২০১৯ সালের সম্মেলনের আসা প্রস্তাবের মধ্যে ৭১,৬৪৬ কোটি টাকার প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার পথে। রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতি ও বাণিজ্য সম্মেলনের যৌথ অবদানের ফলে ২০১০ – ১১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে জিডিপি-র পরিমান ৪.৬ লক্ষ কোটি থেকে ২০১৯ – ২০ সালে ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।

উ্ল্লেখ্য অতিমারীর আবহে দু বছর স্থগিত থাকার পর আগামী বছর রাজ্যে ফের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী বছর ২০-২১ এপ্রিল এই দু’দিন বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। সম্মেলন আয়োজনের জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মুখ্যসচিব ওই কমিটিতে থাকছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট