রাজ্যে প্রতি মাসে ২দিন অমিত শাহ ৩ দিন নাড্ডা, টার্গেট বাংলায় মরিয়া বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশ বঙ্গ জুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। একদিকে বাম-কংগ্রেস জোট অন্যদিকে বিজেপি তার মধ্যে নতুন সংযোজন মিম এর সাঁড়াশী চাপে বেশ চাপে ঘাসফুল শিবির।
এই মুহুর্তে বিরোধীদের বক্তব্যের পাল্টা জবাব শাসক শিবিরের নেতৃত্বরা দিলেও ভেতরে যে রক্তক্ষরণ অব্যাহত তা স্পষ্ট। মেদিনীপুর থেকে পাহাড়া সর্বত্রই দলের ভেতরের চাপা আগুনের ধোঁয়া ক্রমশ কুন্ডলী পাকিয়ে বেরিয়ে আসছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হচ্ছেন না বিরোধীরাও।
তবে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে পাকাপাকি ভাবে পদ্ম চাষে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি, তা বুঝতে আর কারোর বাকি নেই।
মঙ্গলবার দলীয় নেতাদের নিয়ে হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন আইটি সেল প্রধান ও সদ্য পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য।
বিজেপির সাংগঠনিক প্রধান বিএল সন্তোষ, অরবিন্দ মেনন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সুনীল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওরে এবং হরিশ দ্বীবেদী ছাড়াও ছিলেন মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
নাম ধরে ধরে কাজ ভাগ করে দেওয়া হল নেতাদের। রাজ্যের ৫ জোনের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বাইরের ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাদের।
মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী দেখবেন ত্রিপুরার বিজেপি কিংমেকার সুনীল দেওধর। রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে থাকবেন বিনোদ সনকর, উত্তরবঙ্গ দেখবেন হরিশ দ্বিবেদী, কলকাতা থাকবে দুষ্ম্যন্ত গৌতমের দায়িত্বে।
নবদ্বীপ দেখবেন বিনোদ তাওড়ে। সবশেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই ভাগ করে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।
মঙ্গলবারের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বুধবার সকালেই স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি উড়ে যান দিলীপ ঘোষ।
তবে যাওয়ার আগে বলে যান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবার প্রতি মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসবেন।এরপর কবে আসবেন, এখনও ঠিক হয়নি। তবে এ বার প্রতিমাসেই আসবেন। যদি দরকার হয়, আরও বেশি বার আসবেন। এই মাসের সফর আপাতত শেষ। আগামী মাসে আবার আসবেন দু’জনেই। এখনও তারিখ ঠিক হয়নি।’
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/nort-bengal-political-situation-before-2021-assembly-election/
অন্যদিকে বিহার নির্বাচনে পাঁচটি সিট পাওয়ার পর এরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার ডাক দিয়েছে আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল। মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) কে রাজনৈতিক লড়াইয়ে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
এই বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। তাঁর কথায় দিলীপ ঘোষ এরাজ্য মিমকে ডেকে নিজেদের হাত শক্ত করতে চাইছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজেপির পুরোনো তাস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষককদের মতে, এরজ্যে ওয়েইসির দল ভোট লড়লে শাসক শিবিরের অনেক সংখ্যালঘু ভোটে টান পড়তে পারে। তবে রাজনৈতিক সমীকরণ যেকোনো মুহুর্তে বদলে যেতে পারে। আগাম বলা সম্ভব নয়।
সবমিলিয়ে নির্বাচনের আগে এরাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ জটিল। রাজনৈতিক দলগুলির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।