কৃষক আন্দোলনের জট কাটাতে দু’দফার বৈঠকে কেন্দ্র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শর্তসাপেক্ষে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি নয়। দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সিদ্ধান্তের পর মধ্যরাতে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজধানীর পাঁচটি মূল প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকির পরেই কার্যত সিল করে দেওয়ার হল দিল্লি সীমান্ত। আজকে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র সিং তোমার।

গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাস, এবং জলকামানকে প্রতিহত করে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। সোমবার সকাল থেকে সোনিপত, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরার রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা।

শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সরকার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। কিন্তু কৃষকদের আন্দোলন দিল্লির সীমান্ত না আটকে রেখে বুরারি ময়দানে তা স্থানান্তরিত করতে হবে। তবেই ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বিসবে সরকার। কিন্তু অমিত শাহের প্রস্তাবে রাজি হননি কৃষকরা। কৃষকদের তরফে ৭ জনের কমিটি গঠন করে বৈঠক ডাকা হয় রবিবার। বৈঠকের পর ওই কমিটির সদস্য এবং স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেন, সরকারের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষ বৈঠকে রাজি নয় কৃষকরা।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষ বৈঠকে নারাজ কৃষক, জারি রইল আন্দোলন

কৃষকদের তরফে জানানো হয়, এমনিতেই আন্দোলনরত কৃষকদের আটকের জন্য দিল্লি সরকারের কাছে নয়টি স্টেডিয়ামের অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলসিহ। এখন বুরারি ময়দানে সকলে শামিল হলে সেটাকে জেলখানায় পরিবর্তিত করা হতে পারে। ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের সভাপতি সুরজিত ফুল জানিয়েছেন, বুরারি ময়দানের পরিবর্তে কৃষকদের যন্তর মন্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় পুলিশ। কিন্তু তাতে রাজি হনি তাঁরা। তার পরিবর্তে ‘দিল্লি ঘেরাও’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা।

সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে সংসদে পাশ হওয়া নয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। পাশাপাশি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।

প্রায় দু’মাস ধরে চলা এই আন্দোলনে ৫০০ কৃষক সংগঠনগুলি একজোট হয়েছে। সরকারী সূত্রে খবর, দেশের প্রায় তিন লক্ষ কৃষক শামিল হয়েছে এই আন্দোলনে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নতুন কৃষক আইনের কথা উল্লেখ করলেও তাতেও দমেনি আন্দোলনের আকার। বরং একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন এই আন্দোলনে। সোমবার সকাল থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে দিল্লি বর্ডার বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

সম্পর্কিত পোস্ট