নির্বাচনের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নীলবাড়ি দখলে একেবারে মাঠে নেমে পড়েছে সমস্ত দল। বিজেপি-তৃণমূলের জোড়া সভায় বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার উত্তাপ বেড়েছে। অমিত শাহের সভার পাশাপাশি তৃণমূলের সভায় উপস্থিত থাকছেন অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে সরকারী চাকরিজীবীদের সামনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি ২১ এর লড়াইয়ের জন্য কার্যত মাস্টার স্ট্রোক হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নামখানার জনসভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, ক্ষমতায় এলে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করবে বিজেপি। সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য অমিত শাহের ঘোষণা বিজেপিকে মাইলেজ দেবে মনে করছেন অনেকেই। একইসঙ্গে সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এমনিতেই গত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকারের বেতন কাঠামো নিয়ে সরব হয়েছেন সরকারী চাকুরীজীবীরা। একাধিকবার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছেন তাঁরা। সম্প্রতি পার্শ্ব শিক্ষকের ঐক্যমঞ্চে উপস্থিত হয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় প্রতিশ্রুতি দেন ক্ষমতায় এলে তাঁদের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিজেপি নেতার থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়ে অনশন কর্মসুচি তুলে নেন পার্শ্বশিক্ষকরা।

আরও পড়ুনঃ অসুস্থ মন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে SSKM-এ মুখ্যমন্ত্রী, ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

একইভাবে রাজ্যের অনত্র বেতন কাঠামো নিয়ে সরকারী চাকুরীজীবীদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে। আর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে তাঁদের ভোট নিজেদের ঝুলিতে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেকারণেই সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর প্রতিশ্রুতি দিলেন অমিত শাহ।

শুধুমাত্র সরকারী কর্মচারী নয়, রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জন্য ঘোষণা করেন অমিত শাহ। বিজেপির সরকার ক্ষমতায় এলে ‘কৃষক সম্মান নিধি’র মতো ‘মৎস্য সম্মান নিধি’ চালু করা হবে।

একইসঙ্গে ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন তিনি। একইসঙ্গে আমফান দুর্নীতি নিয়ে উচ্চস্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করবে বিজেপি। সাধারণ মানুষের টাকা ফিরিয়ে অপরাধীদের জেলে পাঠানো হবে। একইসঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার বাংলার পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারবে বলে স্পষ্ট করেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতি আজও অতীত। যা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ জানিয়ে দেন আগে টাকা দিন তারপর ভোট চাইবেন।

পশ্চিমবঙ্গের ওপর যখন গেরুয়া শিবিরের বিশেষ নজর তখন এই প্রতিশ্রুতি মালা বাংলার মানুষ গলায় পড়বেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।

সম্পর্কিত পোস্ট