মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতেই আজ নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করলেন শাহ
দ্যা কোয়ারি ডেস্ক: দুই দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। দ্বিতীয় দিন তিনি মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন মতুয়া পরিবারে। এদিন অমিত শাহের মেনুতে ছিল একেবারে বাঙালি খাবার। ছিল ভাত, রুটি, ছোলার ডাল, মুগের ডাল, পনির, বেগুন ভাজা, শুক্তো, চাটনি ও নলেন গুড়ের পায়েস।
নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে শাহের সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-সহ বাকি নেতারা। এদিন মতুয়া মন্দিরেও যান অমিত শাহ।ভোটের আগে মতুয়া বাড়িতে খাওয়া,মতুয়া মন্দিরে যাওয়া এসব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মতুয়াদের বড় মা বীনাপানি দেবীর সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বড়মার আর্শীবাদও নেন তিনি। বীনাপানি দেবীর নাতি শান্তনু ঠাকুর বর্তমানে বিজেপি সাংসদ। শুধু যে বিজেপি মতুয়াদের পেছনে ছুটছে এমন নয়,
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যেই দাবি করেছেন, তার সরকারের আমলে মতুয়াদের উন্নতি হয়েছে। প্রসঙ্গত বাংলার ভোটে মতুয়াদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার নিউটাউনে মতুয়াদের একটি মন্দিরে দর্শনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের জন্য সেজে উঠেছিল গোটা মন্দির চত্বর। মহিলারা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান অমিত শাহকে। সফরকালে দুটি দাবিও করেন মতুয়ারা।
প্রথম, যত দ্রুত সম্ভব সিএএ লাগু করতে হবে। মতুয়াদের এলাকায় রাস্তার নাম ভগবান গুরুচাঁদ ঠাকুর সরণী দিতে হবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/trinomool-team-clash-in-coochbehar-dinhata/
মন্দিরটি নিউটউনের জয়নগর এলাকায়। অমিত শাহের সফরকে কেন্দ্র করে এদিন গোটা এলাকায় কার্যত ভরে গিয়েছিল বিজেপির পতাকায়। সব মিটে গেলে স্থানীয় মতুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু কেন এইসব?
আসলে এসবের পেছনে রয়েছে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির।
পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যের দলিত ভোটের মোট ১৭.৪ শতাংশ রয়েছে মতুয়াদের। রাজবংশীদের পরেই রয়েছে মতুয়ারা। গোটা রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যার ১.৮ কোটি এসসিরা।
বাংলার মোট ১০টি লোকসভা আসন দলিতদের জন্য রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ৪ টি আসন-কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বিষ্ণুপুর ও বনগাঁ। এই ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে বিজেপি প্রথম থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু বিধানসভায় প্রভাব রয়েছে মতুয়াদের। এছাড়া হুগলি, হাওড়া ও নদিয়াতেও রয়েছেন মতুয়ারা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা দেয় বিজেপি। তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুরকে হারিয়ে জিতে যান বিজেপির শান্তনু ঠাকুর।
আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে তৈরি সবপক্ষই। ২০২১ সালে ভোটের দামামা বাজিয়ে রাজ্যে পা রেখেছেন অমিত শাহ। এই সফরকালে তাঁর মতুয়াদের বাড়ি মধ্যাহ্নভোজন ও মন্দিরে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।