সৌজন্যেঃ আমফান ক্ষতিপূরণ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ঝাঁটা তৃণমূল সমর্থকদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফান ঝড়ের দেড়মাস অতিক্রান্ত। ক্ষতিগ্রস্থ উত্তর ২৪ পরগণার বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনো অবদি পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ।
এখনও বেশ কিছু জায়গায় মাথার উপর ছাদও নেই মানুষের। জুটছে না ঠিকমত খাবারও। এমতাবস্থায় করোনা যেন কোনোভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি মানুষগুলোর উপর।
নেই সামাজিক দূরত্ব, নেই মাস্ক। পেটের তাগিদে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করেই চলছে বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সমর্থকরা। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে রীতিমত ঝাঁটা ছোড়েন তৃণমূল সমর্থকরা l
করোনা চিকিৎসায় পূর্ব ভারতের সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে মেডিকেলে
বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে স্বজনপোষণ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ার মধ্যে সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই পঞ্চায়েত ঘেরাও করে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে এনিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়।
এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই পঞ্চায়েতের গেটের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ ও মারমুখী জনতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঝাঁটা উঁচিয়ে গেটের সামনে তেড়ে যান।
তারা গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। বিক্ষিপ্তভাবে কেউ কেউ ইট নিক্ষেপও করেন। এসময় উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে প্রতিবাদী জনতার মৃদু ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশ প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় তৃণমূল সমর্থকদের l ঝাঁটা জুতো নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ঝাঁটা ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে l
এনিয়ে বাগদা বিধাসভা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তরুণ ঘোষ জানান, ‘বিজেপি পরিচালিত কনিয়াড়া-২ পঞ্চায়েতে আমফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মেম্বার, প্রধান, উপ-প্রধান তাঁদের স্বনামে-বেনামে নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের অ্যাকাউন্ট প্রচুর টাকা ঢুকেছে।
তাঁর কথায়, ওই ঘটনার বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিল। আমাদের দাবি, এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত না অথচ তাঁদের একাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত গরীব মানুষ যাদের নাম বাদ পড়েছে এমন একটাও মানুষের নাম যাতে বাদ না পড়ে তাঁদের নাম যাতে তালিকায় ওঠে সেই দাবিতে প্রতিবাদ-আন্দোলন হয়েছে। যতক্ষণ ওই দাবি না মানা হয়েছে ততক্ষণ এখানে ঘেরাও অবস্থান চলেছে।’
বেলা ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত একটানা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।