শক্তি বাড়াচ্ছে আম্ফান, রাজ্য জুড়ে জারি সতর্কতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।শক্তি বাড়িয়ে ক্রমেই রাজ্যের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। শনিবার উপকূলের জেলা গুলিকে সতর্ক করল নবান্ন।

এদিন এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে জেলা প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। এই বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাজ্যের উপকূলে একটা ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই অবস্থায় আমরা মৎস্যজীবীদের অনুরোধ করছি সমুদ্রে মাছ ধরতে না যেতে।

যদিও করোনা পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তা সত্বেও আরও একবার নবান্নের তরফে উপকূলবর্তী জেলার মানুষদের সতর্ক করা হল।

তিনি আরও বলেন,  সরকারের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং জেলা গুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যদি সমস্যা হয়, উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের সুরক্ষিত এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো করেই পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

আলোচনার পরে বয়ান বদল, বেসরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া মানব না: শুভেন্দু

এদিকে এদিনই আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার বিকেলের পর এরাজ্যের উপকূলে আছরে পড়বে এই সাইক্লোন।

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে,  বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি এদিন বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এদিন রাত পর্যন্ত এই সাইক্লোনের অবস্থান ছিল পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার দূরে।

আগামী ৪৮ গন্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়টি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

প্রথমে ওড়িশা উপকূলে আচড়ে পড়বে। তারপর এরাজ্যের উপকূলে আছরে পড়বে।  তারপর এটি যাবে দীঘা উপকূলের উপর দিয়ে।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আছড়ে পড়ার সময় এই সাইক্লোনের গতিবেগ থাকতে পারে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার।

সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৬৫ কিলোমিটার। ওই দিন ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,  কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী বুধবার এই সাইক্লোনের শক্তি আরও কিছুটা বাড়বে। ওইদিন সাইক্লোনের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার। সেইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঝড়ে উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতিমধ্যেই ওড়িশার বারোটা জেলায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

সম্পর্কিত পোস্ট