করোনায়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বামপন্থী চিন্তাবিদ তথা পদ্মভূষণ ও একুশে সম্মান পাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্যকর মোড়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর প্রয়াণের সংবাদ প্রথমে এলে বলা হয় বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। পরে পারিবারিক সূত্রে রাতে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ছিল, সেটা নিশ্চিত করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল হৃদরোগ সমস্যার পাশাপাশি কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স, প্রস্টেটের সমস্যা ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যা নিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
ড. আনিসুজ্জামানের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বাংলাদেশ ও ভারতে পরিচিত অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার (এখন উত্তর ২৪ পরগনা) বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। পরে দেশভাগের পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন।
প্রয়াত সাহিত্যিক দেবেশ রায়, শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলনের অল্পকাল পরে আমি গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসি। সে সংযোগ বছর পাঁচেকের বেশি স্থায়ী হয়নি। তবে ওই সময়ে বামপন্থার যে শিক্ষা লাভ করেছিলাম, তা জীবন ও জগৎ সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি চিরকালের জন্যে গঠন করে দিয়েছিল। ওই শিক্ষা না পেলে আমি আজকের আমি হতে পারতাম না।
১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলা একাডেমির গবেষণা বৃত্তি লাভ করেন। একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারায ১৭৫৭-১৯১৮ বিষয়ে পিএইচডি শুরু করেন।
১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উনিশ শতকের বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস: ইয়ং বেঙ্গল ও সমকাল বিষয়ে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন।