সিবিআই অফিসে গেলেন অনুব্রত, আদালতের কঠোর মনোভাবই কী কারণ?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসের সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দেওয়ার সময়ই শোনা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে আসতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই জল্পনাকে সত্যি করে এদিন সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির হলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি।
কিন্তু একসময় টানা সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানো অনুব্রতর নিজে থেকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্ভবত এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে আদালতের কঠোর মনোভাব দেখে আর ঝুঁকি নিতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় আগেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যস্ততা, অসুস্থতার কথা বলে তিনি প্রায় ৪-৫ বার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে যান। শেষবার মাসখানেক আগে সিবিআই কার্যালয়ে আসার সময় হঠাৎই এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যান।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার মধ্যেই চেয়ারম্যানের ইস্তফা, রাজ্যের উপর ভরসা হারিয়ে SSC-র অফিস সিলের নির্দেশ
সেখানে দিন কুড়ি কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ কথা বলে ফের সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান। তবে শেষ দু’দিনে এসএসসি দুর্নীতি মামলা কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তাতেই সম্ভবত এই দাপুটে তৃণমূল নেতার টনক নড়ে। নাকি ভয় পান অনুব্রত?
আদালত কী বলেছে?
রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ চন্দ্র অধিকারী সহ এসএসসি মামলার ক্ষেত্রে যে সব প্রভাবশালীদের নাম জড়িয়েছে তাদের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ, প্রভাবশালীরা তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাদের যখন-তখন গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই!
এসএসসি মামলায় তিনি অভিযুক্ত নন। তবু গরু পাচার মামলার তদন্তে সিবিআই একইরকম কঠোর হতে পারে বলে সম্ভবত মনে করেছেন অনুব্রতর আইনজীবীরা। তাঁদের পরামর্শেই তড়িঘড়ি হাজির হন কেষ্ট, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।