Anubrata Mondal Arrested : ১০ দিনের CBI হেফাজতে কেষ্ট, বীরভূমের বাঘ যেন বেড়াল ! কটাক্ষ বিরোধীদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার ভোররাতে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই দফতরে ক্যাম্প খাট পেতে রাতে বিশ্রাম করেছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ডায়েট চার্ট মেনেই খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এই মুহূর্তে বোলপুরের বাড়ি নয় নিজাম প্যালেসের ১৫ তলা অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আর কিছুক্ষণ পর থেকেই অনুব্রত মণ্ডল কে জেরা করা হবে। সিবিআই যে প্রশ্ন তালিকা তৈরি করেছে তার মধ্যে যে প্রশ্নগুলি রয়েছে তা হল এই গরু পাচারের টাকা কোথায় যেত, কোন পথেই বা পাচার করা হত, কার মাধ্যমে করা হতো ইত্যাদি। একইসঙ্গে সিবিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে অন্য কোন কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে।

বৃহস্পতিবার রাখির দিন সকালেই বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দশবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাই বৃহস্পতিবার আর কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে সোজা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই গ্রেফতার করার পরেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলের সেই চেহারা উধাও। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। একাধিক সময় দেখা গিয়েছে চোখের জল এবং মাথায় হাত দিয়ে গাড়িতে বসে রয়েছেন তিনি। বীরভূমের কেষ্টর এই চেহারা দেখে কার্যত ভেঙে পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল এর অনুগামীরা।

অনুব্রতকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল সিবিআই, তোলা হবে আসানসোল আদালতে

শুক্রবার সকালেই বীরভূমে তৃণমূল জেলার সভাপতির অনুগামীরা মুড়ি এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন নিজাম প্যালেসে। অন্যদিকে আজ সকাল থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা পথে নেমেছেন। শনিবারও তাদের একই কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল। দলের এই দুই পুরনো নেতার গ্রেফতারিতে যথেষ্ট চাপে রয়েছে শাসক শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের মত একজন দক্ষ সংগঠকের অভাব যেমন বোধ করবে শাসক শিবির তেমনি এই দুই গ্রেফতারিতে মুখ পুড়েছে দলের তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বরাবরই তিনি জেলায় রাজনীতি করতে চেয়েছেন। একাধিকবার তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সত্বেও তিনি স্বেচ্ছায় জেলার রাজনীতিতে থাকার কথা জানিয়েছিলেন দলনেত্রীকে। কেষ্টর গ্রেপ্তারিতে এখনো পর্যন্ত কোনও রকম মন্তব্য করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই প্রশ্ন আগামী দিনে কেষ্টর পাশে থাকবেন তো তাঁর প্রিয় দিদি?

সম্পর্কিত পোস্ট