নির্বাচনের আগে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সরব অনুব্রত মণ্ডল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাজ্যের অষ্টম দফার নির্বাচনে বিশেষ নজর রয়েছে বীরভূমের দিকে। ৪ টি জেলার ৩৫ টি আসনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বীরভূমের ১১ টি আসনের দিকে। আগে থেকেই জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দী থাকার নোটিশ ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এরই মধ্যে বুধবার প্রায় আড়াই ঘন্টার জন্য বীরভূম জুড়ে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাঁইথিয়ায় দলীয় মিটিং সেরে তারাপীঠে অনুব্রত মণ্ডলকে খুঁজে পান তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ নয়, নতুন নিয়ম কমিশনের
আর খোঁজ মিলতেই আরও একবার অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ ধরালো নির্বাচন কমিশন। জেলা শাসকের নির্দেশেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কেষ্ট মণ্ডলকে দ্বিতীয়বারের জন্য নোটিশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৩০ এপ্রিল সকাল অবধি তাঁকে নজরদারিতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, নির্বাচনের কয়েকঘণ্টা আগেই কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তোপ দাগলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সমস্ত থানাতেই একাধিক তৃণমূল কর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নোংরামি করছে পুলিশ অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সভাপতি। তবে বৃহস্পতিবার ১১ টি আসনের মধ্যে ১১ টিতেই জয় নিশ্চিত বলে আশাবাদী অনুব্রত মণ্ডল।
২০১৯ সালের নির্বাচনে এই জেলাতেই ৫ টি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। জেলার মুরারই, হাসন এবং নলহাটিতে বিজেপির তুলনায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। গত দুই বছরে কতটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পেরেছেন অনুব্রত? সেটা দেখা যাবে বৃহস্পতিবারই।