অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন, পঞ্চায়েত দপ্তরকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের ছোট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগের পরিমান আরও বাড়াতে রাজ্য সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। জমির খাজনা অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে নির্দেশ দেওয়া হলো ভূমি দপ্তরকে।
ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন যাতে অনলাইনে করা যায় তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরকে। দপ্তরে সরাসরি আবেদনের ক্ষেত্রে, সব নথি ঠিক থাকলে যাতে দ্রুত লাইসেন্স দেওয়া যায় তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা স্বাস্থ্য দফতরের
সম্প্রতি নবান্নে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ নিয়ে ছোট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ দপ্তর, পঞ্চায়েত, পরিবহন ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর নিয়ে বৈঠকে বসে ছিলেন মুখ্যসচিব। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ছোট বড় যে কোনও শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগিদের এক জানলা পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিতেই হবে।
তাঁর কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে, যে পঞ্চায়েত দপ্তরে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীদের দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। এটা চলবে না। জমির জন্য সামান্য খাজনা দিতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শিল্পোদ্যোগিদের জন্য এটাও ঠিক না। তাই অনলাইনে খাজনা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে রাজ্য সরকার জমি-বাড়ির মিউটেশন বা নাম পত্তনের পদ্ধতিকে আরও সরল করেছে । এর ফলে চলতি বছরে গত দেড় মাসে মিউটেশনের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে বলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।
গত বছর পয়লা আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫০ দিনে যেখানে জমি বাড়ির মিউটেশনের সংখ্যা ছিল ৬.১৩ লক্ষ।এবছর একই সময় তা বেড়ে ২০.২৮ লক্ষ হয়েছে বলে ওই দপ্তর জানিয়েছে।
অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ৭০- ৮০ হাজার আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।একটি আবেদনের এক বার শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করে এবং সদ্য সমাপ্ত দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মিউটেশন সংক্রান্ত বহু আবেদনের নিষ্পত্তি করে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।