তৃণমূলের লকগেটে ধাক্কা মারছেন অর্জুন, পার্থর ইঙ্গিতে তোলপাড় রাজনীতি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দলে ফিরছেন অর্জুন সিংহ! বা ব্যারাকপুরের কোনো বড় মাপের বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার এমনই জল্পনা উস্কে দিলেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থ ভৌমিক।
ব্যারাকপুর মহকুমায় যে কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছিলেন তাদের বোধোদয় হওয়ায় তারা তৃণমূলে ফিরেছেন। নেতৃত্বস্থানীয় ও বড় মাপের নেতারা যে দলে ফিরবেন তারও ইঙ্গিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর-দমদম তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিকের এমনই মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
বারাসাতে একটি অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন সিংহের মত নেতার তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, “২০১৯ সালে ভাটপাড়ার বিধায়ক দল ছাড়ার সময় অনেকে দল ছেড়েছিলেন। তারা অনেকে ভুল উপলব্ধি করায় দলে ফিরেছেন। এখন তৃণমূল দল বেনোজল রুখতে লকগেট আটকে রেখেছে। তৃণমূলের লকগেটে ঘরওয়াপসির জন্য ব্যারাকপুর মহকুমায় অতীতে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া বিজেপি নেতারাও ধাক্কা মারছেন।”
আগামী সপ্তাহেই পেগাসাস নিয়ে রায় ঘোষণা
এদিন জোর দিয়ে দাবী করেন পার্থ ভৌমিক, সেই তালিকায় রয়েছেন অর্জুন সিং। বা অন্যন্যরা। পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, তৃণমূলের লকগেটে ধাক্কা মারছে যারা তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে কি না এবং দিলেও কখন, কবে তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।
এদিন পার্থ ভৌমিকের এই ইঙ্গিতে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। বাবুল সুপ্রিয়র পরে আবার কি বড়সড় চমক কি দেখা যাবে রাজনৈতিক দলবদলে? ঘরওয়াপাসি কি ঘটবে অর্জুন সিংহের?
তবে ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানা গিয়েছে, অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে যে ইঙ্গিত পার্থ ভৌমিক দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভীত্তিহীন। তবে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন অর্জুন আত্মীয় ও নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিংয়ের সঙ্গে দলের দূরত্বের কথা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল সিং। তারপর তিনি পুরোনো দলে ফিরতে চেয়ে তৎকালীন জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেও, ব্যর্থ হন।
বিধানসভা ভোট মিটতেই নতুন করে শুরু হয়েছে রঙবদলের পালাবদল। যেভাবে বাবুল সুপ্রিয়ে বিজেপিকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে এসেছেন তাতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয় বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কে বলতে পারেন আগামী দিনে হয়ত সত্যি হতে পারে পার্থ ভৌমিকের এই ইঙ্গিত। হয়ত সত্যি বদলে যেতে পারে মজদুর ভবনের রঙ।