Arjun Singh :নিশানা ঠিক করে ফেলেছেন কলিযুগের অর্জুন!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন অর্জুন সিং ( Arjun Singh )। তাঁর দল পরিবর্তন নয়, ভোটের ফলাফলে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যারাকপুরে দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Trivedi) বদলে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন অর্জুন।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিট না দেওয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে সেই দীনেশ ত্রিবেদীকেই পরাজিত করেন তিনি। তারপর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল (Barrackpore Industrial Belt) দেখেছিল ব্যক্তি অর্জুনের ( Arjun Singh ) দাপট কাকে বলে। তাঁর বাহিনীর তাণ্ডবে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তাবৎ তৃণমূল নেতারা। তারা ক্ষমতায় থাকলেও ব্যারাকপুরে বন্ধ হতে শুরু করেছিল একের পর এক তৃণমুল কার্যালয়।
গারুলিয়া, ভাটপাড়ার মতো পুরসভা বা বেশকিছু পঞ্চায়েত সেই সময় বিজেপির হয়ে যায়। দলের নেতাকর্মীরা জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্মফুল হাতে তুলে নিতে শুরু করেন। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে সময় দ্রুত বদলায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই অর্জুনকে কোণঠাসা করতে ছক সাজিয়ে ফেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিকরা। বিধানসভা নির্বাচনে হাতেনাতে ফল পাওয়া যায়।
শিল্পাঞ্চলের সাতটা বিধানসভার মধ্যে একমাত্র ভাটপাড়ায় নিজের ছেলে পবন সিংকে জেতাতে পারেন অর্জুন ( Arjun Singh )। তারপর থেকে গত এক বছরে তাঁর সঙ্গী সাথী থেকে শুরু করে অতি ঘনিষ্ঠরা শিবির বদলে তৃণমূলের ফিরে গিয়েছেন।
ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা অন্ডালে, মাঝ আকাশেই আহত ৪০ যাত্রী
এমনকি অর্জুনের পরিবারেও ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে তাতে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিতে থাকলে অর্জুন আদৌ জিততে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
Arjun Singh
এই পরিস্থিতিতে তিনি হঠাৎই পাটের দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। জল্পনা শুরু হয় শিবির বদলের লক্ষ্যে পাটের দাম অর্জুনের অজুহাত মাত্র। তবু তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyel) দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে বৈঠক করেন। তারপরেও সোচ্চার কলিযুগের অর্জুন। রবিবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, ললিপপ দিয়ে আমায় চুপ করানো যাবেনা। ইঙ্গিত স্পষ্ট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অর্জুন সিং ঠিক করেই ফেলেছেন তিনি কী করবেন। এই অবস্থায় তাঁর পিছনে পড়ে থাকা মানেই সময় নষ্ট করা, এটা বিজেপি যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল। নাহলে সেই পরে গিয়ে মুখ পুড়বে তাদের।