অর্জুনের লক্ষ্যভেদ ! বিজেপিকে দুর্বল করে তৃণমূলে স্বমিহায় ব্যারাকপুরের সাংসদ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করে সাংসদ হন তিনি। তিন বছর গেরুয়া শিবিরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমশ বদলাতে শুরু করে এই রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। ২০২২ সালের ২২ মে ফের ঘরওয়াপসি হতে চলেছে তাঁর। অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আজ বিকেল বেলাতে তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন তিনি।

দিন কয়েক আগেই পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। অর্জুন সিং এর বেসুরো মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বৈঠকের পর অর্জুনের দাবি মেনে কাঁচা পাটের দামের উর্ধ্বসীমা তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তারপরেও বরফ গলল না।

উত্তরের পরেশ শুধু নয়, দক্ষিণের শাসক মন্ত্রী-বিধায়কদের‌ও নাম উঠে আসছে SSC কেলেঙ্কারিতে

বড় অর্জুন সিং এর পুরনো ঘরে ফিরতে চান একের পর এক সায়রী এবং টুইটের মাধ্যমে ক্রমশ রহস্যের উন্মোচন করছিলেন তিনি। শনিবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুরের আনাচে-কানাচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে অর্জুনের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়তে থাকে। রবিবার সকাল হতেই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় এই খবর।

তৃণমূলে স্বমিহায় ব্যারাকপুরের সাংসদ

অর্জুন সিং এর ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে রবিবার বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রীট এর অফিসে যোগদান পর্ব হতে চলেছে। তবে অর্জুন সিং এর দলে ফেরা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলের একাংশ। যে অর্জুন সিং এতদিন তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, আক্রমণ করেছেন দলনেত্রীকে, তাঁকে কি করে মেনে নেবেন সেই নেতারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরলে নিঃসন্দেহে ব্যারাকপুরে বিজেপি গড়ে ভাঙ্গন ধরবে। শুধু তাই নয় তাদের ধারণা এতদিন ধরে রাজনৈতিক কারণে উত্তপ্ত হয়ে থাকা ব্যারাকপুর কার্যত শান্ত হয়ে যেতে পারে। তবে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ কি আদৌ প্রচলন করা সম্ভব হবে? শুধু তাই নয় তৃণমূলের অন্দরেই অর্জুন রাজত্ব কিভাবেই বা মেনে নেবেন ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ স্তরের নেতারা?

সম্পর্কিত পোস্ট