কেজরিওয়ালের শপথে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬২ টি আসনে জয়লাভ করে আমআদমি পার্টি(আপ)। দিল্লির বুকে ঝাড়ু ঝড়ে ডাহা ফেল করে অমিত শাহের চাণক্য নীতি।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়্ছেন কেজরিওয়াল।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬২ টি আসনে জয়লাভ করে আমআদমি পার্টি(আপ)। দিল্লির বুকে ঝাড়ু ঝড়ে ডাহা ফেল করে অমিত শাহের চাণক্য নীতি।
এরপরই তৃতীয়বার পুনরায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কেজরিওয়ালকে টুইটবার্তায় শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সামনে রেখে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি। এমনকি কেজরিওয়ালকে সন্ত্রাসবাদী তকমাও দেন এক বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুনঃ The Hall of Pulwama Fallout
যদিও সেই সবকিছু দূরে সরিয়েই প্রধানমন্ত্রীর টুইটের জবাব দিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে তাঁরা প্রস্তুত।
যদিও এখানেই শেষ নয়। কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের দিন কারা কারা থাকবেন তা নিয়ে আগেই জল্পনা শুরু হয়। শোনা গিয়েছিল বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধানরা উপস্থিত না থাকলেও ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন।
তবে বৃহস্পতিবার আপের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কেনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ করা হবে না। কারণ এই মঞ্চকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করা হবে না বলে জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির দিল্লি ইউনিটের আহ্বায়ক তথা দিল্লির প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী গোপাল রাই।
কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কারণ কী?
সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভাল। ফলে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই সঙ্গে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন এবং আপের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্ন দলের নেতা বা মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আরও পড়ুনঃ বীর যোদ্ধাদের জানাই সেলাম, জয়হিন্দ….
তবে দলের অনেকে মনে করেন, আপের জয়কে এই সব আঞ্চলিক নেতারা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে মানুষের রায় বলে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও সেই রাজনৈতিক বার্তা তাঁরা দেশবাসীর উদ্দেশে দিতে পারেন। তবে আপ প্রধান কেজরিওয়াল মনে করেন এই জয় সম্পূর্ণ দিল্লিবাসীর উপহার। তাই সেখানে একমাত্র উপস্থিত থাকবেন দিল্লির আমজনতাই।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হলেও, তিনি উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। প্রথমে কাউকে ডাকা হবে না বলে জানিয়ে পরবর্তীতে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল প্রধানমন্ত্রীকে? তাহলে কী দিল্লি ও দিল্লির আমজনতার উন্নয়নে নরম হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতেই ভরসা রাখছেন কেজরিওয়াল?