মমতা দিদির পাশেই থাকলেন কেজরিওয়াল, যশবন্তকে সমর্থন আপের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রামনাথ কোবিন্দের উত্তরসূরি কে হবেন তা সাংসদদের পাশাপাশি রাজ্যগুলির বিধানসভার সদস্যরা বেছে নেবেন। তবে বিজেপির চিরাচরিত দল ভাঙানোর খেলার জেরে দ্রৌপদী মুর্মু যে অনেকটাই এগিয়ে আছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে একজোট হয়েছে তা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। সম্ভবত বিরোধী ঐক্যের এই ছবি দেখেই বিজেপি কিছুটা হলেও ২৪ এর লোকসভা ভোট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছে।
আর প্রধান বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার ক্ষেত্রে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনিস্বীকার্য। তাঁর সেই দৌত্বের ফলে বিরোধী পরিসর এবার আরও কিছুটা প্রসারিত হল, আম আদমি পার্টি জানিয়ে দিল তারা বিরোধীদের সঙ্গেই আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন করবে আপ।
এতদিন বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসের থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখেই চলছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। তাই কংগ্রেস যতবারই বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা করেছে তারা আপকে পাশে পায়নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বিরোধী শিবিরকে নেতৃত্ব দিতেই ম্যাজিকের মত কাজ হল।
ঘরের মধ্যে ঘোগের বাসা! বিরোধীরা কই, কয়লা কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ছে সরকারি আধিকারিকরাই
তাছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। তাঁদের পরস্পরের মধ্যে একটা স্বাভাবিক আস্থার জায়গাও আছে। দেশের প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধাও করেন আপ প্রধান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান ঠিক এই সমীকরণেই এবার ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবিরে যোগ দিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লি ও পাঞ্জাব মিলিয়ে তাঁর হাতে দেড়শর বেশি বিধায়ক আছে। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে সাংসদ সংখ্যা প্রায় ১৫। এর পুরো সমর্থনটাই যশবন্ত সিনহা পাবেন। ফলে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও তিনি যে ভালোমতোই লড়াই দেবেন তা একরকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।