অশান্তির আবহে ভোট মিটল আসানসোলে, দুই কেন্দ্রেই কমল ভোটের হার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া আসানসোল লোকসভা ( Asansol Byelection ) এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা ( Ballyganj By Poll 2022 ) কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোট পর্ব মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। দুই কেন্দ্র মিলিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে গড়ে ৫৩ শতাংশের মতো। এরমধ্যে আসানসোলে ভোট পড়েছে ৬৪ শতাংশের বেশি। বালিগঞ্জে ভোটের হার ৪১ শতাংশ।
কোথা থেকে বড় কোনও হিংসা, রিগিং বা ভোটারদের বাধাদানের খবর পাওয়া যায়নি। তবে তীব্র গরমে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় আসানসোলের কয়েকটি বুথে ভোট প্রক্রিয়া কিছুটা ব্যাহত হয়। এই একই কারণে দুই কেন্দ্রে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
তবে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোল এবং বালিগঞ্জ দুই আসনেই শাসক দল ও বিরোধী প্রার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়। উভয় পক্ষের কমিশনের কাছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ জমা পড়ে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ছাপ্পা ভোট, রিগিং এর সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে কমিশনের দাবি।
Suvendu Adhikari : হাঁসখালি কাণ্ডে মমতাকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর
আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সন্তোষ প্রকাশ করেছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন নানা ধরণের উস্কানি এবং প্রবল গরম উপেক্ষা করেই এই দুই কেন্দ্রের ভোটদাতারা সচেতনভাবে ভোট দিয়েছেন।
তিনি তাদের অভিনন্দন জানান। একদিকে রমজানের উপবাস,গরম এবং উপনির্বাচনে মানুষের কম ভোট দানের প্রবনতার কারণেই দুই কেন্দ্রে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন।
রাজ্যে বর্তমান সরকারের শাসনে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয় বলে বিজেপি দাবি করেছে। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন,বালিগঞ্জে ২২টি বুথে ভোটদাতাদের ভয় দেখানো হয়েছে। ভয়ে কেউ ভোট দিতে আসতে পারেনি। তাই সেখানে অনেক কম ভোট পড়েছে। তবে কলকাতা পুরসভার ভোটের ফলাফলের মত এবারেও নির্বাচনের ফলাফলে শাসক দলের প্রার্থী সেই সংখ্যক ভোট পেয়ে যাবেন।
অন্যদিকে আসানসোলে দলীয় প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) ও বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারিকে (Jiten Tiwari) বাধা দেওয়ার ঘটনার নিন্দা করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো সত্বেও তাদের আটকানোর পরিবর্তে পুলিশ বিজেপি নেতাদের বাধা দিয়েছে। বারাবনি,জামুরিয়া এবং পাণ্ডবেশ্বরে ভোট দাতাদের যেভাবে ভয় দেখানো হয়েছে, তাতে এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না তা আগেই বোঝা গেছে। রাজ্যের শাসকদল গণতন্ত্রকে হাস্যস্পদে পরিণত করেছে বলে তার আরও অভিযোগ।