Asansol Imam :ফের মানবিকতার নজির, ছেলের খুনিদের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিলেন না সেই ইমাম
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৮ সালে রামনবমীর সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল আসানসোল আর সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয়েছিল আসানসোলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া সিবগতউল্লাহ’র। সিবগতউল্লাহ ছিলেন আসানসোলের ইমাম ইমদাদউল্লাহ রাশিদির ছেলে। কিন্তু সেই সময় নিজের ছেলেকে হারিয়েও সংঘর্ষ থামানোর বার্তা দিয়েছিলেন ইমাম।
Gorkhaland issue : ফের পাহাড়ে চাঞ্চল্য,পৃথক রাজ্যের জন্য জিটিএ নির্বাচন না হওয়ার দাবি গোর্খাদের
চার বছর পর ছেলের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষীই দিলেন না ইমাম রাশিদি। জানালেন যাদের দেখিনি, তাদের বিরুদ্ধে কি করে সাক্ষী দেব।
চার বছর পর ইমামের ছেলে খুনের সেই মামলার নিষ্পত্তি হল। রামনবমীর প্রাক্কালেই কিন্তু মানবিকতার নজির রেখেই ইমাম নিজেই সরে দাঁড়ালেন এই মামলা থেকে।
২০১৮ সালে আসানসোলের রেলপাড় এলাকা গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল। রামনবমীর সময় এই সঙ্গে সংঘর্ষের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে আসেপাশের এলাকাতেও। সেই সময় আসানসোলের রেলপাড়ের একটি মসজিদের ইমাম ইমদাদউল্লাহ রাশিদির ছেলে সিবগতউল্লাহ অপহরণ হয়ে যায়।
দুদিন পর সিবগতউল্লাহ’র ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের মৃত্যুর শোক বুকে নিয়েও ইমাম ইমদাদউল্লাহ শান্তির জন্য সংঘর্ষ থামাতে আহ্বান জানান জনসাধারণের কাছে। কিন্তু পুলিশ মামলা করে ঘটনাটি নিয়ে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মূল অভিযুক্ত ছিল পিন্টু যাদব ও বিনয় তিওয়ারি। কিন্তু যারা এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল, তারা সকলেই বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন। ১০ জন সাক্ষীর কেউ আদালতে বলেননি যে, তাঁরা নিজে চোখে দেখেছেন যে, কে বা কারা খুন করেছে। এমনকী, নিজের ছেলে খুন হওয়ার পরেও ইমাম ইমদাদউল্লা রশিদি ও তাঁর আত্মীয়রা আদালতে বলেন, তাঁরা সত্যিই দেখেননি তাঁদের ছেলেকে কে বা কারা খুন করেছে।