আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন, রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী বাবুল, তুুমুল জল্পনা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছিল, দলের নির্দেশেই তাঁর এই পদত্যাগ। সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে তাঁকে।

জল্পনা সত্যি করে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে অর্পিতা ঘোষকে। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে এবার অর্পিতার জায়গায় জাতীয় রাজনীতির মুখ হিসাবে কাকে নিয়ে আসা হবে?

এই জল্পনার মাঝেই হঠাৎই তৃণমূলে যোগদান করলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। চলতি বছরের ৩১ জুলাই বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই বিজেপির কার্যক্রমে আর সেভাবে তাকে দেখা যায়নি।  নির্দল সংসদ হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন অর্পিতা ঘোষের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। সেক্ষেত্রে আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়তে হবে। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাবুল জানিয়ে দিলেন আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।

২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে আসানসোল থেকে সাংসদ হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ফলে দীর্ঘদিন দিল্লির বুকে রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ঠাঁই পেয়েছিলেন মোদীর মন্ত্রিসভাতেও।

অভিষেকের হাত থেকে নিলেন পতাকা, তৃণমূলে বাবুল

তাই বিজেপির স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যসভায় বাবুল সুপ্রিয়কে আনলে তৃণমূলের পক্ষে তা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য, তৃতীয়বার বিপুল ভোটে তৃণমূল জিতে আসার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা করেছিলেন, তাসের ঘরের মত ভেঙে যাবে বিজেপি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই যেভাবে একে একে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়ছেন নেতারা, তাতে অভিষেকের কথাই প্রমাণিত হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল সুপ্রিয় জানান, যা ঘটেছে গত চারদিনে তাতেই মানসিকতা বদল। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। আগামী দিনে মমতা- অভিষেক যা বলবেন সেভাবেই চলবেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট