আসানসোলে আনচান! আজ সব কাণ্ড শিল্পাঞ্চলে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জটায়ুর বইয়ের নাম ছিল যত কান্ড কাঠমান্ডু বা বোম্বাইয়ের বোম্বেটে। এগুলো সত্যজিৎ রায়েরই লেখা, শুধু জটায়ুর বলে উল্লেখ ছিল। তার থেকে ধার করে আজকের পর্বের নাম দেওয়াই যেতে পারে ‘আসানসোলে আনচান’! একসঙ্গে অনুব্রত ইভেন্ট, সেইসঙ্গে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই, দুটোই ঘটছে আসানসোলে। এ যেন রাজযোটক। সেক্ষেত্রে এর চেয়ে ভালো নাম আর কী হবে।
বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেল থেকে বেরিয়ে জেলা আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন কেষ্ট। এই সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “শরীর মোটেও ভালো নেই”। সূত্রের খবর, এই শরীর ভালো না থাকার কথা বলেই আদালতে জামিনের আবেদন জানাবেন কেষ্ট মণ্ডলের আইনজীবী। তবে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি যাতে জামিন না পায় তার জন্ম প্রস্তুত সিবিআইয়ের আইনজীবীরাও। তাঁরা জমিনের বিরোধিতা করবেন বলেই খবর।
ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। এই নিয়ে দু’দফায় জেল হেফাজত হল গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতার। ২১ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা
এদিকে বুধবার সাত সকালেই রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটকের ব্যক্তিগত ও পৈতৃক বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কয়লা পাচার মামলাতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই মলয়কে দিল্লি তলব করেছিল ইডি।
তার আগেই তাঁর বাড়ি হানা দিল আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। এছাড়াও কলকাতার লেক গার্ডেন্সে ও সল্টলেকে মন্ত্রীর যে বাড়ি আছে সেখানেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সব জায়গাতেই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছে। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।