বাবুলের পয়সা উসুল প্রায় নিশ্চিত, ‘বিহারীবাবু’ কি অঙ্ক মেলাতে পারবেন?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর একটা বড় সময় প্লেয়িং ইলেভেনে খেলার স্বপ্ন নিয়ে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রায় নিশ্চিত আসন বালিগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
ভোটে জেতার পর তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় দেখতে পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বাবুলের ছেড়ে আসা আসানসোলে কি হবে? আসানসোল বরাবরই তৃণমূলের কাছে শক্ত গাঁট। বহরমপুর, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, মালদহ দক্ষিণের মতো এই লোকসভা কেন্দ্রটিতেও তৃণমূল কখনও জেতেনি। বাম জমানা পতনের পর আসানসোল দখলের ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রধান বাধা হয়ে ওঠেন বাবুল সুপ্রিয়।
তবে বিজেপি ছেড়ে সেই তিনিই এখন তৃণমূলে। পাটিগণিতের হিসেবে উপনির্বাচনে আসানসোল দখলের ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই লোকসভা এলাকায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। আর সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পুর নির্বাচনে আসানসোলে একচেটিয়া সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল।
জয়ী দুই কাউন্সিলর খুন ! কড়া বার্তা মমতার
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে এরকম একটি ‘নিশ্চিত’ আসনে রাজ্যের কাউকে প্রার্থী না করে বিহার থেকে শত্রুঘ্ন সিনহাকে উড়িয়ে আনতে হল কিন্তু কেন? আসলে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোটার হিন্দিভাষী। এরাই বিজেপির প্রধান ভোটব্যাঙ্ক। এদিকে সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে বঙ্গ বিজেপি। এর প্রভাব ভোটারদের উপরেও পড়তেই পারে।
এই সমস্ত হিসেব-নিকেশ মাথায় রেখেই তৃণমূল সম্ভবত ‘বিহারীবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহাকে আসানসোলে প্রার্থী করেছে। হিসেবটা পরিষ্কার, বলিউডের এই প্রাক্তন স্টারকে প্রার্থী করে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসানো। আর যদি হেরেও যায়, তাতে অস্বস্তি কিছুটা হলেও কম হবে।
কারণ তিনি তো আর বাংলার কেউ নয়! সায়নী ঘোষকে কেউ কেউ প্রার্থী পদের দাবিদার মনে করলেও সঙ্গত কারণেই তাঁকে প্রার্থী করেননি রাজ্যের শাসক দল। বাকিটা জানার জন্য ১৬ মার্চ পর্যন্ত সকলকে অপেক্ষা করতে হবে।