করোনা আবহে পুজোয় বহাল ‘নাইট কার্ফু’ , রাত জেগে প্যান্ডেল হপিং-এ নিষেধাজ্ঞা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন সেপ্টেম্বরের শেষাশেষি এবং অক্টোবরের শুরুতেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা। তাই স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের আসানসোল, দুর্গাপুর, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া জেলায় বাড়তে শুরু করেছে অজানা জ্বরের প্রকোপ। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর। উত্তরবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।

উৎসবের মরসুমে একদিকে করোনা অন্যদিকে অজানা জ্বরে রীতিমতো নাজেহাল রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই করোনা আবহে দুর্গাপূজা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।

এবার সেই পথেই হেঁটেই নির্দেশিকা জারি করেছে অসম সরকার। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মোহান্ত জানিয়েছেন পুজোর আয়োজকদের কোভিড টাইম দুর্গাপূজো গাইডলাইন মেনে পুজো করতে হবে।

সর্বজনীন পুজোর যারা আয়োজন করছেন তাদের প্যান্ডেল করতে হবে খোলা মাঠে। কোন প্যান্ডেল এই ভিড় যাতে না হয় তার জন্য খেয়াল রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের। প্যান্ডেলে ঢোকার মুখেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকেই প্যান্ডেলের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

দ্বিতীয় দফায় শেষ দুয়ারে সরকার কর্মসূচী, রেকর্ড আবেদন লক্ষ্মীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে

জানানো হয়েছে একসঙ্গে একাধিক পূজা কমিটি বিসর্জন করতে পারবে না। একটাই মূর্তি বিসর্জন দেওয়া যাবে একবারে। বিসর্জন দেওয়ার দুই থেকে তিন দিন আগে জেলা প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিতে হবে। প্রশাসন থেকে যে রুট নির্দিষ্ট করা হবে তাও মেনে চলতে হবে।

একইসঙ্গে পুজো কমিটি গুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্যান্ডেলের পাশে যে সমস্ত মেলা বা বাজার বসে সেগুলো এবার বন্ধ করতে হবে। সেইসঙ্গে পুজোয় সমস্ত রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

জানানো হয়েছে বহাল থাকবে নাইট কারফিউ। ফলে রাত জেগে ৯ টার পর প্রতিমা দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে দর্শনার্থীদের। পুজোর সময় রাত ৯ টার মধ্যে সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসম সরকারের এই নির্দেশিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এতদিন বন্দী থাকার পর আমজনতাকে এই নির্দেশিকা মানানো চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।

একইসঙ্গে অসম প্রশাসনের তরফে ১২ অক্টোবরের মধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মোহান্ত।

সম্পর্কিত পোস্ট