বন্যা এবং করোনা দুইয়ের সঙ্গে কঠিন লড়াই অসমের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একে বন্যায় রক্ষে নেই তার ওপর কোভিড দোসর। এমনই অবস্থা অসমের। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।

পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্রের জলে ভাসছে অসমের ২৪ টি জেলা। বানভাসি অসমের ২৪ লক্ষ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৮৫ জন।

আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২২ জুলাই অবধি অসম এবং মেঘালয়ের একাধিক অংশে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

এএসডিএমএ রিপোর্ট অনুযায়ী, অসমের বন্যা বিধ্বস্ত হয়েছেন ২৪,৩০,৫০২ জন মানুষ। প্রায় ২২৫৪ টি গ্রাম জলের তলায় বলে জানা যাচ্ছে।

২৪ টি জেলার মধ্যে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধেমাজি, লক্ষিপুর, বিশ্বনাথ, দারাং, বক্সা, নলবাড়ি, বারপেটা, চিরাং, বোয়াইগাও, কোকড়াঝাড়, ধুবড়ি, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, মোরিগাও, নগাও, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুখিয়া জেলাগুলির বিরাট এলাকা।

২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, সরকার গড়ব আমরাঃ মুখ্যমন্ত্রী

ভয়াবহ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০৯৬০০ চাষের জমি। একাধিক জেলায় বিপদ সীমার ওপর দিয়ে জল বয়ে চলেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোয়ালপাড়া জেলা। জেলায় বানভাসি মানুষের সংখ্যা ৪.৫৯ লক্ষ। মানুষের থাকার জন্য ৪৬৮ টি রিলিফ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এখন ৪৮, ১৯৭ জন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘন্টায় উদলগুড়ি এবং বোয়াইগাঁও জেলার একাধিক নদী বাঁধ ভাঙার খবর সামনে আসছে। জলের তোড়ে তলিয়ে গিয়েছে গোয়ালপাড়া জেলার একাধিক রাস্তা।

ফলে যোগাযোগ একেবারে স্তব্ধ হিয়ে গিয়েছে। এরকমই কিছু ঘটনা বক্সা, সোন্তিপুর এবং মাজুলি থেকেও আসছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েকলক্ষ মানুষ।

দীর্ঘ সময় ধরে জলের তলায় রয়েছে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক এবং ওরাং ন্যাশনাল পার্ক। এখনও অবধি কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে ১১৩ টি পশুর মৃতের খবর পাওয়া গিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট