প্রয়াত বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘদিন রোগভোগের পর বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হলেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭।
তিনি ২০১১ সাল থেকেই ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। হয়েছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রীও। কিন্তু শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে থাকায় ২০১৬ সালে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করে ভোটে গেলেও জয়ী হওয়ার পর তাঁকে আর মন্ত্রীত্ব প্রদান করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মৃত্যুতে আরও এক শূন্যস্থান তৈরি হল রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ব্যাপক ধস নামে ঘাসফুল শিবিরের। সেই সময়ই প্রয়াত হন তৎকালীন রাজ্যের বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ শফি।তারপরই সুকুমার হাঁসদাকে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/critical-soumitra-chatterjee-the-situation-has-not-changed/
প্রসঙ্গত, রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন আদিবাসী চিকিৎসকও। সুকুমার বাবুর পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা সুবোধ চন্দ্র হাঁসদা ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের মন্ত্রীও ছিলেন।
সুকুমারবাবু প্রথমে রাজনীতিতে না এসে চিকিৎসাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে দীর্ঘদিন নানান সরকারি হাসপাতালে কর্মরতও ছিলেন। বাম জমানায় চাকরি থেকে অবসরের পরেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী হন। যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এদিন তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ডঃ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ডঃ হাঁসদা তাঁর সারা জীবন আদিবাসীদের উন্নয়নব্রতে উৎসর্গ করেছিলেন। আদিবাসী আন্দোলনে ও আদিবাসী মানুষের কল্যাণসাধনে তাঁর ভূমিকা ও অবদান ছিল বিরাট। আদিবাসী সমাজের অভ্যন্তরে থেকে তিনি তাঁদের বিকাশে নিজের জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। আমি সুকুমার হাঁসদার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ অত্যন্ত বিনয়ী ও কাজের মানুষ সুকুমারবাবুর মৃত্যুতে গোটা ঝাড়গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এদিকে সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন সব রাজ্য সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
Deeply grieved to hear about the passing away of WB Assembly Dy Speaker & Jhargram MLA Shri Sukumar Hansda. He was also serving as AITC State Vice President. His relentless service for people shall always be remembered. My condolences to his family & followers.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 29, 2020