সেপ্টেম্বরেই কী বিধানসভা অধিবেশন! ভাবনা চিন্তা শুরু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মার্চ মাসে শেষবার বসেছিল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। করোনা আবহে এরপর আর বিধানসভা অধিবেশন হয়নি। তবে সংবিধানের নিয়মানুসারে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যেই অধিবেশন করতে হবে। সেইমতো সেপ্টেম্বর মাসেই এবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসাতে তৎপর হল রাজ্য সরকার।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিধানসভার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে রাজ্য বিধানসভায় তাদের মতামতও চেয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে দিনক্ষন এখনও ঘোষিত হয়নি।
জানা গিয়েছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ এখন সবথেকে বেশি চিন্তিত বিধায়কের বসানো নিয়ে। চেষ্টা করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিধায়কদের বসার ব্যবস্থা করতে। যাতে দুইজনের বসার মাঝে অন্তত যাতে দুটি আসনের ব্যবধান থাকে সেই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে।
এর জন্য গ্যালারিতেও যাতে বিধায়কেরা বসতে পারেন সেই দিকটিও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। মাথায় এটাও রাখা হচ্ছে যাতে অধিবেশনের দিনগুলিতে প্রতিটি দলের বিধায়কেরা আনুপাতিক হারে উপস্থিত থাকতে পারেন। অর্থাৎ সব দলের সব বিধায়কেরা একদিনেই বিধানসভায় আসবেন না। তাঁরা ‘অলটারনেট ডে’ মেনে চলবেন।
অর্থাৎ যে বিধায়ক সোম, বুধ ও শুক্রবার অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন তিনি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপস্থিত থাকবেন না। তাঁর পরিবর্তে তাঁদের দলেরই অন্য কোনও বিধায়ক অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। তবে এবারে অধিবেশন কক্ষ থাকবে একদমই দর্শকশূণ্য।
সাংবাদিকদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রীত হবে। এমনকি বিধানসভা ভবনের প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার চ্যানেল বসানোর ভাবনাও রয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে নির্বাচন? নয়া নির্দেশিকা কমিশনের
প্রাথমিক ভাবে সেপ্টেম্বরে অধিবেশন বসানো নিয়ে স্পিকার ও রাজ্য সরকার ঐক্যমত্যে হলেও ঠিক কবে থেকে অধিবেশন বসবে আর তা কতদিন চলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে জানা গিয়েছে সংক্ষিপ্ত আকারেই অধিবেশন হবে।
যে যে বিল বা প্রস্তাব আনতেই হবে সেগুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে এই অধিবেশনে। অধিবেশন দৈনিক ভিত্তিতে বসলেও তা ৫-৬ ঘন্টার বেশি হবে না। আবার ১ মাসের বেশিও না হওয়ার সম্ভাবনাই রয়েছে।
সেপ্টেম্বরের অধিবেশন যদি ঠিক ভাবে করা যায় তাহলে শীতকালীন অধিবেশন ২ মাসের হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
তবে চিন্তা থাকছে রাজ্যের বেশ কিছু বিধায়কের মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাটি। যারা ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ছাড়পত্র পাবেন কিনা সেটিও দেখার বিষয়।