রাজ্য নেতৃত্বের অনুরোধে একুশের জনসভা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নজরে বাংলা । বিধানসভার নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার আগেই একেবারে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়েই মাঠে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির। একের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতির পর এবার প্রচারে নামছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার একটি সরকারী অনুষ্ঠানে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধনের কথা রয়েছে ওইদিন। সেদিনেই বিজেপির একটি জনসভায় উপস্থিত থাকবেন তিনি।

নির্বাচনের আগে রণকৌশল তৈরি করতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন কৈলাস বিজয় বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিব প্রকাশ, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সুভাষ সরকাররা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

মঙ্গলবার গভীর রাত অবধি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৭ তারিখ হলদিয়াতেই প্রথম জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, হলদিয়ায় রাজনৈতিক সভার জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এর আগে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি’ চালু হওয়ার পরেই বাংলায় প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু রাজ্য বিজেপির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রবিবার দলীয় জনসভা শুরু করবেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ফের উত্তাল সংসদ, রাজ্যসভার তিন সাংসদকে কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ চেয়ারম্যানের

ওই দিন হলদিয়ার সরকারী অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে তৃণমূল সাংসদ এবং অধিকারী পরিবারের সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা এড়িয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন দিব্যেন্দু। আর তাতেই তৃণমূল সাংসদের দলবদল ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

কিছু আগেই হলদিয়ায় আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মন্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূলের তরফে। এরপর পুর্ব মেদিনীপুর জেলার ৮ টি হাসপাতালের প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। যদিও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য রয়েছেন তিনি।

তবে কি দাদা শুভেন্দু অধিকারীর পথ অনুসরন করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন তিনি?

আগামী ৬ তারিখ রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ওইদিন নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রা শুরু করবেন তিনি। একদিনের সফরের পর ফের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসবেন জেপি নাড্ডা। সেদিন ঝাড়্গ্রাম এবং তারাপীঠ থেকে রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন তিনি।

এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোচবিহার থেকে আরও একটি রথযাত্রার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। বাকি একটি রথযাত্রা শুরু হবে কাকদ্বীপ থেকে। কিন্তু কবে তা শুরু হবে এখনও কিছু জানা যায়নি।

রাজনৈতিক মহলের মতে, একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। সেই দিনক্ষণ এখন সময়ের অপেক্ষা।

সম্পর্কিত পোস্ট