ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বর্ধিত ফুলবাগান পর্যন্ত, বিপাকে অটো চালকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ফুলবাগান পর্যন্ত বর্ধিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অটো চালকরা। ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের পাশেই রয়েছে অটো স্ট্যান্ড। যেখান থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত অটো রুট। এই নির্দিষ্ট দূরত্ব যেতে অটোয় ভাড়া লাগে ২৫ টাকা। এবং সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট।
এখন মেট্রোয় এই যাত্রা পথ পেরোতে সময় লাগছে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট। আর মেট্রো ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। ফলে করোনা কালে বেশি টাকা ভাড়া গুণে অটোয় যেতে চাইছেন না কেউই ।
করোনা আবহে পাশাপাশি গা ঘেঁষে বসে যাতায়াত যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত মানুষ চাইছে এড়িয়ে যেতে চাইতে। তবে বাণিজ্যিক ভাবে প্রথম দিনের যাত্রায় অবশ্য ব্যাপক ভিড় হয়েছে এমনটা নয়। তবে প্রত্যেকেই আশাবাদী বাস বা অটো নয়, মেট্রোই তাদের পক্ষে সুবিধাজনক। ফুলবাগান থেকে যাঁরা নিত্যদিন যাতায়াত করেন সিটি সেন্টার।
তাঁরা অনেকেই জানাচ্ছেন, আগে সিটি সেন্টার যেতে দু’বার অটো বদল করতে হত। যাওয়ার সময়ই খরচ হতো ২৫ টাকা। যাতায়াতের খরচ ধরলে ৫০ টাকা। এখন সেটা ২০ টাকায় হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা নিজেরাই জানাচ্ছেন, কেন আর বাস বা অটোয় যাবেন। কম সময়ে আরামদায়ক যাত্রা হিসাবে নয়া মেট্রোকেই আগ্রাধিকার দিচ্ছেন তাঁরা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jdu-and-bjp-will-fight-in-bihar-in-50-50-formula/
উল্টোডাঙ্গার বাসিন্দা অপরেশ দাস জানাচ্ছেন ছেলেকে নিয়ে করুণাময়ী পর্যন্ত গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়াতে নিয়ে যান। হয় স্কুটার বা বাইক নয়তো অটো ভরসা ছিল। এবার অবশ্য মেট্রোই ভরসা তাঁদের। এই অবস্থায় কেন অটো বা স্কুটার, বাইকে যাব? আবহাওয়া, সাথে এই করোনা দুটোই আমাদের চিন্তায় ফেলে দেয়।
এখন একেবারে নিশ্চিন্ত আমরা। প্রথম দিনের সফরেই অনেকে শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড নিয়ে গিয়েছেন। এতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে অটো চালকরা।
ফুলবাগান থেকে সল্টলেক প্রায় ২০০ অটো চলাচল করে। এদের অনেকেই করুণাময়ী, সিটি সেন্টার বা সেক্টর ফাইভের যাত্রী। যাদের অটো বদলে গন্তব্যে পৌঁছতে হত। এবার শুধুমাত্র এক মেট্রোয় গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরেই এই রুটে অটো চালকরা জানাচ্ছেন, লকডাউনে রোজগার ছিল না। এবার আরও বিপাকে পড়লাম।