“দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, মাফিয়া- কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বহিরাগত” , ডায়মন্ডহারবার থেকে বিস্ফোরক অভিষেক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যতই নাড়ো কলকাটি নবান্নে আবার হাওয়াই চটি। পদ নয় পতাকা, নেত্রীর নাম মমতা।” কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগানেই ফের উজ্জিবিত হয়ে উঠলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
ডায়মন্ডহারবারে নোদাখালিতে আজ জনসভায় উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ ও যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর সভা করার সময়েই অভিষেকের এই সভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
ডায়মন্ডহারবার তৃণমূলের শক্ত ঘাটি বলেই পরিচিত। লকডাউনের পরে অভিষেক প্রথম জনসভা এখান থেকেই শুরু করলেন।
শুরু থেকেই এদিন বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন, যারা দলে থাকতে চান থাকতে পারেন। নাহলে অন্য দলে চলে যেতে পারেন। দলের উর্দ্ধে কেউ নয়।
নাম না করে এদিন শুভেন্দুকে একহাত নেন তিনি। সাতগাছিয়ার জনসভায় অভিষেক বলেন,”কর্মী হোক বা নেতা, তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ প্যারাশুটে নামেনি। লিফটে ওঠেনি।প্যারাসুটে নামলে আর লিফটে উঠলে ডায়মন্ড হারবার নয় দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতাম। দলের সিদ্ধান্তে আমাকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হতে হয়েছে”।
নোদাখালির জনসভা থেকেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কটাক্ষ করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “কেউ প্যারাসুটে নামলে লিফটে উঠলে বিধায়ক হত না। আমি ৩৫ টা পদ নিয়ে বসে থাকতাম না”। “তৃণমূল দলটা তাঁদের কর্মীদের কাছে মায়ের মতো… বউ হারালে বউ পাওয়া যায়, মা হারালে মা পাওয়া যায় না। মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘতকতা করলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কড়ায় গন্ডায় জবাব দেবে”।
তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করে কোনও লাভ হবে না । উন্নয়নের সঙ্গে আপোস নয়। মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমন করলেই আপনারা জিততে পারবেন না। রাতারাতি মমতা ব্যানার্জি তৈরী হয়নি।”
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/two-brother-of-state-minister-join-bjp/
এদিন সাতগাছিয়া থেকে প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা আমাকে ভাইপো বলে সম্বোধন করে। নাম নিয়ে আক্রমন করতে পারে না। দম থাকলে ভাববাচ্যে কথা না বলে ডায়রেক্ট বলুন। আমি এক বাপের ব্যাটা। করুন আমার বিরুদ্ধে মামলা। আমিও দেখি কে সত্যি বলছে, কে মিথ্যা বলছে।”
অভিষেকের কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ভারতকে সবাই ভয় পায়। তাই তো লোকসভার আগে পুলওয়ামাকে নিশানা করলেন। লাদাখের অবস্থা কি? কেন চিনকে জবাব দিচ্ছেন না? ওরা আমাদের জওয়ানদের মারছে আর আপনি অ্যাপস ব্যান করছেন।মানুষ বোকা নয়।
অভিষেকের সাফ কথা, “ধর্ম ও নকল দেশপ্রেম নিয়ে রাজনীতি হয় না।প্রধানমন্ত্রী এক বলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য কথা বলছেন। বিভ্রান্ত আমজনতা।”
এদিন প্রকাশ্য জনসভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, মাফিয়া, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বহিরাগত।”
অভিষেকের প্রশ্ন, “লকডাউনে রাস্তায় কতবার অমিত শাহ বাংলায় এসেছেন? কতবার প্রধানমন্ত্রী এসেছেন?”
এদিন তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ছিলেন প্রয়াত সৌমেন মিত্র। তাঁর জমানায় কোনও কাজ হয়নি।প্রার্থী হওয়ার পর মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। কেউ বলছে জল নেই, বিদ্যুৎ নেই। তবুও ময়দান ছেড়ে যাইনি। আমি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডায়মন্ড হারবারে বাকি কাজ শেষ করব। নাহলে ভোট চাইতে আসব না। আগে কাজ, পরে ভোট।”
এদিনের জনসভা থেকে কড়া বার্তা দেন তিন। বলেন, “দল সকলের কাছে মায়ের মত। রাজনৈতিক ভাবে সকলকে লড়াই করার সুযোগ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের মা। মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইলে আপনারা ছেড়ে কথা বলবেন না। কেউ তা করলে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দেবে।”