তৃণমূলের সম্প্রীতির পোস্টার ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য বাবুলের, পাল্টা জবাব পার্থর
দ্য পিপল ডেস্কঃ দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর ইস্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর থেকেই পথে নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন একাধিকবার। এমনকি প্রতিবাদী মঞ্চে সম্প্রীতির বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। এবার তৃণমূলের এক পোস্টার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুনঃ বিরিয়ানি এবং খাবারের লোভেই আন্দোলন করছেন পার্ক সার্কাসের মহিলারা মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
শনিবার, টুইটারে বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে উল্লেখযোগ্য ‘পরিবর্তন’ !! ‘সততার প্রতিক’ থেকে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ !!
পশ্চিবঙ্গের সব থেকে উল্লেখযোগ্য ‘পরিবর্তন’ !! ‘সততার প্রতিক’ থেকে
‘সম্প্রীতির প্রতীক’ !! আর দিদির সম্প্রীতি মানে আসলে কি, মানুষ খুব ভালো করেই জানে #TMchhi pic.twitter.com/N8upASxmJ8— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) February 15, 2020
আর দিদির সম্প্রীতি মানে আসলে কি, মানুষ খুব ভালো করেই জানে”। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
এবিষয়ে দ্য কোয়ারিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাবুল মানে লোকে জানে নাটক, বাবুল মানে গান। সে তো নাটক-ই করছে। বাবুল মানে সংগ্রাম কেউ জানে?”
আরও পড়ুনঃ বিধায়কদের উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অর্থ বাড়ানো হোক, বিধানসভায় দাবী তৃণমূল বিধায়কের
তিনি আরও বলেন, “দিদি সম্প্রীতির প্রতিক না জানলে বাবুলের মত লোক কথা বলছে কি করে? দিদি সম্প্রীতির প্রতীক, সততার প্রতীক এটা বাবুল সুপ্রিয় না জানলেও গোটা বিশ্ব জানে। আর বাবুল কি সেটাও সবাই জানে “।
এর আগে শুক্রবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন রেলমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যা নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এবিষয়ে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তিনি আসেননি।
এবিষয়ে দ্য কোয়ারিকে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, “জেনারেল ম্যানেজার গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলেন। এটা তো অদ্ভুত ব্যাপার। আজ যদি প্রধানমন্ত্রী আসেন আর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা না করেন তবে সেটা প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান জানানো হবে। যিনি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ছিলেন, যিনি এখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একজন সেক্রেটারি আমন্ত্রণ করতে যাওয়া অপমান নয়? এটাই কি সৌজন্যতা? যিনি একসময় বাংলার রেলমন্ত্রী হয়ে উঠেছিলেন আজ তাঁকেই সম্মান জানানো হচ্ছে না। এটা তো বাঙালিকে অপমান করা হচ্ছে”।