বাগনানে দলীয় কর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পদে পদে বাধা পুলিশের, হুঙ্কার সৌমিত্রর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাগনানে দুর্গাষ্টমীর রাতে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপির ৫ নম্বর মন্ডলের সহ-সভাপতি কিঙ্কর মাঝি।তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ১২ ঘন্টা বাগনান বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি।
বাগনানে বিজেপির বনধ ঘিরে সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দোকানপাট খোলা নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এলাকায় বিজেপির শান্তি মিছিলও রুখে দেয় পুলিশ।
বাগনানে ঢোকার মুখে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খানকে আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপি সমর্থকরা বাগনান থানার গেটে বিক্ষোভ দেখায় দীর্ঘক্ষণ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সামনে চলে আসেন স্থানীয় বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরাও।
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা লাথি মেরে ফেলে দেয় পুলিশের সমস্ত গার্ডরেল। রাস্তায় যানচলাচল ব্যাহত হয়ে যায়। যত বেলা বাড়ছে কর্মী সমর্থকদের ভিড় বাড়ছে এলাকায়। বনধ সফল করতে বদ্ধ পরিকর বিজেপি। এলাকা জুড়ে পুলিশের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/assembly-deputy-speaker-sukumar-hansda-died-today/
এদিন সৌমিত্র খান বলেন, “এবার গোটা হাওড়া জ্বলে যাবে, আমাদের ছেলেদের গ্রেফতার করা হল কেন? ওদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে”। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, যাঁরা সত্য়িই দোষী, খুলে আম ঘুরছে তাঁরা। অন্যদিকে, তীব্র উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে কর্মীদের সংযত রাখতে বলেছেন সৌমিত্র খান।
উল্লেখ্য, মহাষ্টমীর দিন রাতে বাগনানের চন্দনাপাড়ার কাছে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাঝি। তাঁকে কলকাতার এন.আর.এস মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বুধবার তার মৃত্যু ঘটে।
তার মৃত্যু সংবাদ পেয়েই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগনানের বেনাপুর গ্রাম।এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকালে উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে ৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।