Bagtui Massacre : বগটুইয়ে তদন্ত চললেও প্রমাণ লোপাটের জেরে সমস্যায় CBI
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আদালতের নির্দেশে বগটুই ( Bagtui Massacre ) গণহত্যার তদন্ত আগেই শুরু করেছিল সিবিআই। অথচ যার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ওই গণহত্যা ঘটে সেই ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) খুনের তদন্তভার সিবিআইকে (CBI) দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) শেষ পর্যন্ত ভাদু মামলার দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।
যদিও কোনও এক আশ্চর্য কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি ভাদু হত্যার তদন্ত করতে খুব একটা ইচ্ছুক ছিল না। কিন্তু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সিবিআইকেই বেছে নেয় আদালত।
যদিও খুব সরাসরি না হলেও আদালতের এই সিদ্ধান্তে পুরোপুরি খুশি নয় ভাদু শেখের পরিবার। মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তবে তিনি সরাসরি সিবিআইয়ের বিরোধিতা করেননি। এদিকে তদন্তে নেমে সিবিআই বগটুই ( Bagtui Massacre ) গ্রামকে প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে চষে ফেলেছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই।
Imran Khan : ইমরানও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না, মধ্যরাতেই ইসলামাবাদ ত্যাগ
সিবিআই মনে করছে ওই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের হাতে যখন তদন্তভার ছিল সেই সময় যেভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তা মোটেও হয়নি। বিশেষ করে কোনও ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী আছে।
Bagtui Massacre
সেই নিয়ম মেনেই সবার আগে যাবতীয় তথ্য ও প্রমান সংরক্ষণ করার কথা। কিন্তু পুলিশ ও সিআইডি অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ না করায় পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে সিবিআইয়ের দুঁদে গোয়েন্দাদের। এতে আদৌ তদন্ত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে কিছু মহলে।
তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল ভাদু অনুগামী শেখ লালের বাড়ির সিসিটিভির হার্ডড্রাইভ খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি। তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। পুলিশ প্রাথমিক যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতে ১২ নম্বরে নাম আছে শেখ লালের।
গণহত্যার পরের দিন দুপুর পর্যন্ত তিনি গ্রামে ছিলেন। এই সংক্রান্ত প্রমাণ ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তালা ভেঙে শেখ লালের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখেন সিসিটিভির হার্ডড্রাইভ নেই।
কিছু মহল থেকে বলা হচ্ছে শেখ লাল নিজেই হার্ডড্রাইভ নিয়ে চম্পট দিয়েছে। তবে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা শেখ লাল ছাড়াও আরও অন্য কেউ সুপরিকল্পিতভাবে হার্ডড্রাইভ গায়েব করে থাকতে পারে। সিবিআইয়ের অনুমান ওই হার্ডড্রাইভে সেদিনের ঘটনার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছিল। তাই সেটি আগেভাগেই লুকিয়ে ফেলা হয়েছে।