Birbhum Arson : ভাদু শেখের মৃত্যুর ঘটনায় বীরভূম পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ভাদু শেখ ( bhadu shekh ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করল আরও তিনজনকে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন প্রাণনাশের আগে থেকেই ভাদু শেখ নিজের মৃত্যুর আশঙ্কায় ভুগছিলেন। ভাদুর যাবতীয় কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার দাদা বাবর।

তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ফুলে-ফেঁপে ওঠার পর গত বছরে খুন হন তার দাদা। বগটুইয়ে চারটে গুলি করে দাদাকে খুন করা হয়। তার দাদাকে যেহেতু একইভাবে গুলি করে খুন করা হয় তাই এই আশঙ্কায় ভুগতেন ভাদু। যদিও সঙ্গী ছাড়া ভাদু খুব একটা বাইরে বেরোতেন না। তবে জাতীয় সড়কের ধারে আড্ডা দিতে যেতেন প্রায়।

Jagdeep Dhankhar summons CM Mamata Banerjee : মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের,সময়সীমা ৭ দিন

সূত্রের খবর ২১ মার্চ বিকেলে ভাদুর মোবাইলে একজন ফোন করেন। কথা বলতে বলতে তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপের বাইরে চলে আসেন এবং একটি বাইকে বসে কথা বলতে থাকেন। এই সময় আততায়ীরা খুব কাছ থেকেই তার মাথা লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে।

Birbhum Arson

সূত্রের খবর ধৃতদের কোর্টে তোলা হবে বুধবার। ভাদু শেখের ( bhadu shekh ) মৃত্যুর পর পলাতক ছিলেন রাজা শেখ,সঞ্জু শেখ এবং শেরা শেখ। পুলিশ তাদের তল্লাশে অনেকদিন ধরেই ছিল।

জানা গেছে ঝাড়খন্ড,মালদা এবং রামপুরহাটের ( Rampurhat ) সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়। ভাদু শেখের মৃত্যু ঘটনায় সিবিআই কোনো তদন্ত শুরু করেনি। SIT কেবল রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ৮ জনের তদন্ত করছিল। ফলে গোটা ঘটনার ভার প্রথম থেকেই ছিল বীরভূম পুলিশের (Birbhum Police) হাতে।

জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে পলাতকরা ঝাড়খন্ড চলে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে। তারপরই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। সঞ্জয় শেখের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআই সেই ঘটনার তদন্তে যেমন কিছু লোককে গ্রেফতার করে তেমনি ভাবে ভাদু শেখের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারে যে আগে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হানিফ, সেই পলাতকদের আগ্নেয়াস্ত্রের জোগান দেয়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত বীরভূমে তল্লাশি চালিয়ে গত চার দিনে ৪০০ টি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট