বাগুইআটির সঞ্জয় রায় খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা পাঁচ জনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাগুইআটির সঞ্জয় রায়কে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনার পাঁচ আসামীর যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। বুধবার বারাসাত আদালতের নির্দেশক্রমে সাজা ঘোষণা হয়।

বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (প্রথম আদালত) বিজয়েশ ঘোষাল এদিন প্রত্যাশা মত পাঁচ আসামীদের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। আগেই রঞ্জু দে, কালীদাস অধিকারী, প্রবীর সরকার, টুকাই বিশ্বাস ও বাপি রমনকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এদিন তাদের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।

সেই সঙ্গে পাঁচ জনেরই ২০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে চার মাস জেল, সঙ্গে বাপি রমন ও টুকাই বিশ্বাস কে বেআইনি ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ও তার ব্যবহারের কারনে সাজা সহ ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেলের নির্দেশ দেন বিচারক।

লকডাউনের কারণে রাতেই পালিত হল রাজীব গান্ধীর জন্মদিন

তবে দোষীদের আইনজীবী বিপ্লব রায় এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের যাবে বলে জানিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ধৃত অপর চারজনকে আগেই উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

তার মধ্যে বাগুইআটির আইএনটিটিইউসি নেতা বাবাই বিশ্বাস ছিলেন। আগের শুনানীর শেষে বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক বিজয়েশ ঘোষাল এর আগেই নয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি চারজনকে খালাস করেন।

বুধবার ছিল দোষীদের সাজা ঘোষণার দিন। সরকারী কৌঁসুলি সন্দীপ ভট্টাচাৰ্য জানান, ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাগুইআটি থানার জগৎপুর খালপাড়ে নৃশংস খুনের ঘটনায় এলাকায় প্রতিবাদী হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়োকে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয়।

এই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিস রঞ্জু দে, কালীদাস আধিকারী, প্রবীর সরকার, টুকাই বিশ্বাস, বাপি রমনকে গ্রেপ্তার করেছিল।

খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আইএনটিটিইউসি নেতা বাবাই বিশ্বাস ছাড়াও গোপাল বিশ্বাস ওরফে ইঁদুর, মনোরঞ্জন সরকার ও দীপঙ্কর রায় ওরফে গ্যাস বাপিকেও পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বাড়ি বাগুইআটি, নিউটাউন সহ আশপাশের থানা এলাকায়।

ধৃত নয় জনের কাস্টোডি ট্রায়াল চললেও মনোরঞ্জন বিশ্বাস হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। বাগুইআটির জগৎপুরে প্রতিবাদী যুবক সঞ্জয় রায়ের নৃশংস খুনে মানুষ শিউরে উঠেছিল।

এই ঘটনায় ধৃত ৮ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০বি ৩৪, ২০১ ও অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।

এর আগের শুনানীতে খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা রঞ্জু, কালীদাস, প্রবীর, টুকাই ও বাপিকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন।

গত বুধবার সাজা ঘোষণা স্থগিত থাকলেও দোষীদের বারাসাত আদালতে উপস্থিত করিয়ে এদিন কোয়ান্টাম অফ পানিশমেন্ট বা সাজা ঘোষণা করা হয়।

এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান যে চারজন এই মামলা থেকে খালাস হয়ে গেছে তাদের সাজার জন্য মৃতের পরিবার উচ্চ আদালতে যাবেন।।

সম্পর্কিত পোস্ট