হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না, শোভনকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান বৈশাখী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দীর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এই মুহুর্তে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই ‘রিস্ক বন্ড’ দিয়ে বাড়ি ফেরার আবেদন জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন জেল কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ৫ টি বন্ড জমা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
শনিবার সকাল থেকে তিনটি চিঠি দেওয়া হয়েছে এসএসকেএমের হাসপাতাল সুপারকে এবং আরও দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সিবিআই হেফাজতের চেয়েও খারাপ অবস্থা হাসপাতালে। এর জন্য বেশী হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। শোভন চট্টোপাধ্যায় তিন বেলা খাননি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
শনিবার বিকেলে এসএসকেএমে উপস্থিত হন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। তিনি বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়াবেটিস রয়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয় রয়েছে। আমাদের মনে হয় উনি বাড়িতে থাকলেই ভালো থাকবেন। আমরা চাই উনি হাউজ অ্যারেস্ট থাকুন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পর্নশ্রীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ একইসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেবিনে ঢুকে লাথি মারা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান তিনি।
গত সোমবার নারকাণ্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জী, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। এতদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিন নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখার্জী।
গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশের পর বাড়ি ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে নারদকাণ্ডের শুনানি। বেলা ১১ টা থেকে শুরু হবে মামলার শুনানি।