Bangladesh Independence : বাংলাদেশের আজ ৫১তম স্বাধীনতা দিবস,দেশজুড়ে শোনা গেল একত্রের সুর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃআজ ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল বিশ্বের মানচিত্রে।২৫ মার্চ ১৯৭১ মধ্যরাতে  বাংলাদেশের উপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী হঠাৎ হামলা চালায়।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারও করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ তিনি ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সেইসময়  সারা বাংলাদেশে ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পরে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ শেখ মুজিবের পক্ষে বেশ কয়েকজন  স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

ছাত্রের অভাব না শিক্ষকের? একের পর এক বন্ধ হচ্ছে প্রাথমিক স্কুল

 

বাংলাদেশের মানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত মানুষ এই দিনটি উদযাপন করেন। বিগত দু-বছর ধরে করোনার প্রকোপে বিশ্ব কাবু হয়ে পড়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি এবছরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় আজ বাংলাদেশের মানুষ প্রাণ ভরে গ্রহণ করবে স্বাধীনতার স্বাদ। সূত্রের খবর,স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণে বলেছেন, স্বাধীনতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সামাজিক ন্যায়বিচার,অর্থনীতি,সুশাসনের আয়ু দীর্ঘ করতে হবে। তিনি বিশ্বব্যাপী সমস্ত বাংলাদেশীদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশেষ দিন নিয়ে বলেছেন, দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ দ্রুত একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পাবে।

অন্যান্য রাষ্ট্রের মত ক্রমশ বাংলাদেশ তার শিক্ষা,স্বাস্থ্য,অর্থনীতি,সামাজিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে গেছে। এমনকী নারী স্বাধীনতার মত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নেও এই রাষ্ট্র বিশ্ব কে টেক্কা দিচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবসের দিনে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচী  গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় সূর্যোদয়ের পরেই ।ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন বাহিনীর বাজনার দল বাদ্য বাজাচ্ছেন।

আরও জানা যাচ্ছে,আজ বেলা ৩টে নাগাদ ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি ‘স্বাধীনতা শোভাযাত্রা’ করবে। তারা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে যেমন  ঢাকার শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত।

সম্পর্কিত পোস্ট