বাংলাদেশ শিল্পী সংসদ -অন্য নির্বাচন ঘিরে তেতে উঠেছে বাংলাদেশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাত পোহালেই বাংলাদেশ শিল্পী সংসদ -এর নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে তেতে উঠেছে গোটা দেশ। সর্বত্র কি হয় কি হয় ভাব। শিল্পী সংসদ হল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র তারকাদের ইউনিয়ন। ঠিক যেমন আমাদের টলিউডে আর্টিস্ট ফোরাম আছে তেমনি ওখানে শিল্পী সংসদ।
তবে টেলিভিশনের মেগাসিরিয়ালের দৌলতে আর্টিস্ট ফোরামের সদস্য সংখ্যা বিপুল। সেখানে বাংলাদেশের শিল্পী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন মাত্র ৪১৮ জন। যদিও এই নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই।
গত ৪ বছর ধরে দুটি পর্যায়ে বাংলাদেশের শিল্পী সংসদের দায়িত্ব সামলে আসছেন মিশা-জায়েদ জুটি। সেদেশের সুপারস্টার খলনায়ক মিশা সওদাগর ৪ বছর আগে শিল্পী সংসদের নির্বাচনে সভাপতি পদে হারিয়ে দিয়েছিলেন সুপারস্টার শাকিব খানকে। এই শাকিব এপার বাংলাতেও যথেষ্ট পরিচিত মুখ।
এদিকে দুটো টার্মে সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন জায়েদ খান। মিশা সওদাগরকে নিয়ে তেমন সমস্যা না থাকলেও এই জায়েদ খানকে ঘিরে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগৎ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক নায়িকাকে হেনস্তার পাশাপাশি বয়স্ক শিল্পীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ আছে।
তবে এবারের নির্বাচন অন্য মাত্রা পেয়েছে প্রাক্তন সুপারস্টার ইলিয়াস কাঞ্চন ভোটযুদ্ধের মঞ্চে অবতীর্ণ হওয়ায়। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল।
বাংলাদেশের পরিচিত নায়িকা নিপুন আক্তার তাদের প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
এই ইলিয়াস কাঞ্চনের ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ সিনেমা এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে। প্রথম স্ত্রীর পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর তিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ বলে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। যেটি আকার-আকৃতিতে ক্রমশ বাড়তে বাড়তে বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও কাজ করে চলেছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেলে আছে এপার বাংলার পরিচিত মুখ ফিরদৌস। স্বাভাবিকভাবেই এই হেভিওয়েট প্যানেল জামা পড়ার পরই ভোটের যাবতীয় হিসেব উল্টে গিয়েছে। যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে ক্ষমতাসীন মিশা-জায়েদ গোষ্ঠী।
সেদেশের সিনেমাপ্রেমীরা কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। তবে আমজনতার বেশিরভাগই চাইছেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল জয়ী হোক। এখন দেখার আগামী শুক্রবার, অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারীর ভোটে শেষ পর্যন্ত কারা জয়ী হয়।
তবে যারাই জিতুক তাদের সামনের পথ যথেষ্ট কঠিন হবে। কারণ এপার বাংলার মতোই বাংলাদেশেও একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছে। প্রযোজকরা সিনেমায় টাকা ঢালতে চাইছেন না। এই অবস্থায় সে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার গুরুদায়িত্ব শিল্পীরা কাদের দেবেন সেটাই এখন দেখার।