বাংলাদেশ: কারখানার ভিতর মানুষ পোড়ার গন্ধ, বাইরে আর্তনাদ
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: পোড়া কারখানার মধ্যে কোনটা দেহাবশেষ কোনটা আসবাবপত্র তা বোঝা যাবে না। তবে মানুষ পোড়ার গন্ধ চারিদিকে। বাইরে মৃত ও নিখোঁজদের আত্মীয়রা আর্তনাদ করছেন।
ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায়। কমপক্ষে ৫২ জন শ্রমিক পুড়ে মৃত। অর্ধদগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা।
মৃতদের পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে। এমনই জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোড়া দেহগুলি রাখা আছে।
সিআইডি জানিয়েছে, দাঁত ও হাড়ের মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করতে অন্তত ২১ দিন লাগবে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে এটাই মারাত্মক অগ্নিকান্ডের ঘটনা। যদিও এর আগে তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় আগুন লেগে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর সাক্ষী ছিল গোটা বিশ্ব।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেডে
আগুন লেগেছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবারও আগুন নেবেন। ৬ তলা উঁচু কারখানায় আটকে পড়া শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে চার তলায় উঠেছিলেন। সিকিউরিটি গেট বন্ধ করায় আর যাওয়ার জায়গা ছিলনা। সেখানেই দগ্ধ হয়ে অনেকে মারা যান।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন জানান শনিবার ফের কারখানার ভিতরে ঢুকবেন দমকল কর্মীরা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের ১৮টি দমকল ইউনিট নেমেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত কমিটি এটা বের করবে